বিদেশি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০২১, ১৮:৫৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও নিউমার্কেট এলাকা থেকে অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মো. রনি, মিলন মিয়া, সোহেল ও মো. লিটনসহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

রবিবার (১৮ এপ্রিল ) র‌্যাব-২ এর মিডিয়া কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তারক্ররতদের তল্লাশি করে একটি বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড তাজা গুলি ভর্তি ম্যাগজিন ও ৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এএসপি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে রনি ও তার সহযোগীরা কারওয়ান বাজার এলাকায় বিভিন্ন কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করতো। যারা তার কাজের প্রতিবাদ করে বা চাঁদা দিতে অস্বীকার করে তাদের ওপর হিট এন্ড রান পদ্ধতিতে অতর্কিতে আক্রমণ করে নিমিষেই উধাও হয়ে যেত। রনি চাঁদাবাজি ছাড়াও মাদক ব্যবসা, চুরি, ডাকাতির সসঙ্গে সমানভাবে জড়িত। তারা বেশির ভাগ সময় সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সবকিছু ছিনতাই করে নিতো।

এছাড়াও তেজগাঁও রেললাইন এলাকার মাদক ব্যবসাও নিয়ন্ত্রণ করে রনি। তার বিরুদ্ধে শুধু তেজগাঁও থানায় বিভিন্ন ধারায় ১৩টি মামলা রয়েছে।

 রনি গ্রেপ্তারের পর কারওয়ান বাজারের এক আলু ব্যবসায়ী র‌্যাবকে জানিয়েছেন, এক মাস আগে রনি ও তার সহযোগীরা তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে গ্রেপ্তার হওয়া মিলন মিয়া’র বাসায় নিয়ে যায় এবং রাতভর নির্যাতন করে। পরে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে পরের দিন ছেড়ে দেয়।

এছাড়া অপর এক অভিযানে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার বেড়িবাঁধ চৌরাস্তার মোড় (সাবেক তিন রাস্তার মোড়) এলাকার সাহাবুদ্দিন মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজি করার সময়ে হাতেনাতে চাঁদাবাজ চক্রের মো. সোহেল ও মো. লিটন নামের দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাবকে জানিয়েছে, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় বিভিন্ন অটো রিকশা চালক, সিএনজি চালকসহ ওই এলাকা ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি ও হুমকি হুমকি দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেভচাঁদা আদায় করে আসছিল। বিভিন্ন সময় চাঁদা না দিলে তাদের মারধর করত এবং যানবাহন চালাতে বাঁধা দিতো।

র‌্যাব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, অপরাধী চক্রের সদস্যদের অভিযান চালিয়ে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের আটক করে আমরা যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

(ঢাকাটাইমস/১৭এপ্রিল/এআর/জেবি)