পেটের দায়ে অভিনব কায়দায় চলছে ব্যবসা

প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০২১, ১৯:৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে চলছে সর্বাত্মক লকডাউন। নির্দেশনা অনুযায়ী এসময় সব ধরনের অফিসসহ দোকান-পাট ও মার্কেট বন্ধ করা হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন দিন বেচে দিন খাওয়া সড়কের পাশের ক্ষুদ্র দোকান ব্যবসায়ীরা। লকডাউনের কয়েকদিন না পেরুতেই আটকে রাখা যায়নি তাদের। পেটের দায়ে আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা তাদের।

রবিবার রাজধানী শিশুমেলার পঙ্গু হাসপাতাল সংলগ্ন দোকানগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে।

করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ঘোষিত লকডাউন মানতে নারাজ ব্যবসায়ীরা। অভিনব কায়দায় ব্যবসা শুরু করেছেন তারা। দোকানের সামনে বড় পর্দা টানিয়ে পর্দার পেছনে দোকান খুলে ব্যবসা করছেন তারা। বাহির থেকে দেখে বোঝার কায়দা নেই পর্দার পেছনে দোকান খোলা। পুলিশ দেখলেই নামিয়ে দিচ্ছেন পর্দা। 

হেল্পার হিসেবে পর্দার সামনে দায়িত্ব পালন করছেন একজন এবং ভেতরে দোকানদারি করছেন অন্যজন। পুলিশ চলে গেলেই তুলে দিচ্ছেন পর্দা।

এ ব্যাপারে কথা বললে দোকানদার আরিফ বলেন, ভাই পেটের দায়ে দোকান খুলেছি। ব্যবসা না করলে খাব কি? আমাদেরও তো সংসার আছে, বউ ছেলে মেয়ে আছে। এখন এই লকডাউন এর মধ্যে সরাসরি দোকান খুললে পুলিশ দেখতে পেলে জরিমানা করবে। তার থেকে ভালো এভাবেই টুকটাক যতোটুকু বেচতে পারি। অন্তত মাছ-ভাত না খেতে পারি ডাল ভাত তো খেতে পারব।

শুধু আরিফই নন। সব দোকানদারদেই একই ভাষ্য। তবে, তারা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাবিক্রির চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেন।

সরকারের দেয়া প্রজ্ঞাপনে ঘরের বাইরে বের হওয়াসহ নানান বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার ইত্যাদি অতি জরুরি প্রয়োজনীয় কাজে বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে। এছারা বাইরে বের হতে লাগবে মুভমেন্ট পাস। ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এ বিধিনিষেধ।

(ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/আরকে/ইএস)