তেজগাঁও থানায় ইফতার করলেন মামুনুল

প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০২১, ২০:৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হক গ্রেপ্তারের পর এখন আছেন রাজধানীর তেজগাঁও থানায়। সেখানেই তিনি ইফতার করেছেন। থানা পুলিশ তার জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করে। তবে তার জন্য বিশেষ কোনো ইফতারের ব্যবস্থা ছিল না বলে জানা গেছে।

রবিবার দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার হন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক। পরে তাকে প্রথমে তেজগাঁও ডিসি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ডিসির ব্রিফিং শেষে তাকে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

রবিবার সন্ধ্যায় তেজগাঁও জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. মাহমুদ খান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘দুপুরে গ্রেপ্তারের পর তেজগাঁও ডিসি স্যারের কার্যালয় থেকে তেজগাঁও থানায় মামুনুল হককে আনা হয়। যেহেতু তিনি রোজা ছিলেন সেহেতু থানা পুলিশ তার ইফতারের ব্যবস্থা করে।’

মামুনুলের ইফতারে বিশেষ কোনো আয়োজন ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সবার মতো সাধারণ খাবার দিয়ে ইফতার করেছেন।’

আজকে মামুনুল হককে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে নেয়া হবে কি-না জানতে চাইলে মাহমুদ খান বলেন, ‘আমাদের তেজগাঁও বিভাগের ঊর্ধ্বতন স্যারেরা থানায় আসবেন। এরপর তাকে ডিবিতে নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। তবে কখন নেয়া হবে সেই সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি। থানায় তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবিতে হস্তান্তর করা হবে।’

এর আগে, দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নজরদারিতে ছিলেন।

গ্রেপ্তারের পর বেলা পৌনে ২টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. হারুন-অর-রশিদ। তিনি বলেন, ২০২০ সালের মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর ও নাশকতার মামলার তদন্ত চলছিল। তদন্তে হেফাজত নেতা মামুনুলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সুস্পষ্ট হওয়ায় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তা আপনারা সবাই জানেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি হারুন বলেন, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হাটহাজারীর ঘটনার পর থেকেই তিনি নজরদারিতে ছিলেন। সবকিছু মিলিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে আপাতত মোহাম্মদপুর থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

তাকে আদালতে হাজির করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আগামীকাল সোমবার (১৯ এপ্রিল) তাকে আদালতে হাজির করা হবে। তবে রিমান্ড চাওয়া হবে কি-না তা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/এআর/জেবি)