রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় `শিশুবক্তা‘ রফিকুল

ফাইল ছবি

দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর ‘শিশুবক্তা’ খ্যাত মাওলানা রফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রবিবার দুপুর ২টার দিকে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

রফিকুল ইসলাম নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার লেটিরকান্দা গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে।

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারগার-২ এর জেলার মো. আবু সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ‘শিশু বক্তা’হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিবার দুপুরে গাছা থানায় নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গত ৮ এপ্রিল জিএমপির গাছা থানায় এবং ১১ এপ্রিল বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়।

গাছা থানার ওসি জানান, রফিকুল ইসলাম মাদানীকে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার লেটিরকান্দা এলাকার বাড়ি থেকে গত ৭ এপ্রিল ভোরে আটক করে র‌্যাব। ওই রাতেই গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়। ৮ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন র‌্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার (ডিএডি) আব্দুল খালেক। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

আটককালে রফিকুল ইসলাম মাদানীর কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। এছাড়াও জব্দ মোবাইল ফোনে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ অশ্লীল ভিডিও চিত্রসহ পর্নোগ্রাফি পাওয়া গেছে। এসব অ্যাডাল্ট ছবি ও ভিডিও তিনি নিয়মিত দেখতেন এবং সেগুলো স্টোর করতেন ও লিংক দিতেন। এজন্য রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রুজুকৃত মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২-এর ৮(৫)(ক) ধারা সংযোজন করা হয়েছে। এ মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১৩ এপ্রিল সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ।

১৫ এপ্রিল রিমান্ড শুনানির দিনে তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাকিম শেখ নাজমুন নাহার।

(ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/এলএ)