চসিকের প্রধান কর্মকর্তাদের সাথে মেয়রের বৈঠক

প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০২১, ২২:২০ | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২১, ২২:২৬

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, করোনা সংক্রমণের দ্রুত অবনতিশীল পরিস্থিতিতে ঘুড়ে দাঁড়াতে হলে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি সকল নির্দেশনা পালনে কঠোরতা অবলম্বন যেমন অপরিহার্য, তেমনি নিজ নিজ অবস্থান ও প্লাটফর্ম থেকে জনগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো নিষ্ঠার সাথে সম্পাদন করতে হবে। সিটি কর্পোরেশন মূলত জনদুর্ভোগ লাঘব ও সেবামূলক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান। লকডাউন চলা অবস্থায় এবং প্রয়োজনে জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা রক্ষায় প্রলম্বিত হলেও নগরীতে করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় সিটি কর্পোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও দয়িত্ব রয়েছে। তাই আমাদের হাত গুটিয়ে বসে থাকার অবকাশ নেই।

তিনি রবিবার সকালে টাইগারপাসস্থ চসিকের অস্থায়ী ভবনে তার কার্যালয়ে বিভাগীয় ও শাখা প্রধানদের সাথে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, চসিকের বিভাগগুলোর মধ্যে পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্য ও প্রকৌশল বিভাগ সরাসরি জনসেবায় সম্পৃক্ত। ষষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ শুরুর এক’শ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করে যে-সকল জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদনের কার্যক্রম চলছে, তা সম্পন্ন করতে এই তিনটি বিভাগের ভূমিকা ও সক্ষমতা সবচেয়ে বেশি কার্যকর। সঠিক কার্যকারিতায় অবশ্যই সফলতা আসবে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইতোমেধ্যে তা অর্জিত হয়েছে। এ ছাড়া করোনাকালে নগরে পরিস্থিতি সামাল দিতে সিটি কর্পোরেশনের উপর কিছু অতিরিক্ত দায়িত্বও বর্তেছে। এ ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্য ও প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকতে হবে।

মেয়র আরো বলেন, লকডাউন চলার সময়ে জনসমাগম না থাকায় চসিকের পক্ষে প্যাচ ওয়ার্ক ও জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো নির্বিঘ্নে শেষ করার সুযোগ হয়েছে। এই সময় কাজ করতে গিয়ে জনদুর্ভোগ ও বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয় না।

তিনি আরো বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় অল্প সময়ের মধ্যে লালদীঘির পাড়স্থ নিজস্ব বহুতল ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট যে আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে সেখানে চিকিৎসা সেবা দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি ও সহায়তা নিশ্চিত আছে।

এখানে করোনা চিকিৎসা সেবা নিতে সাধারণ মানুষকে আগ্রহী করতে হবে। একইভাবে মশক নিধনের ক্ষেত্রেও চসিকের পরিচ্ছন্ন টিমকে কাজে লাগাতে কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধান ও নজরদারি প্রয়োজন।

মেয়র বলেন, জরুরি কাজগুলো করতে যে ধরণের মানসম্পন্ন সামগ্রী ও সরঞ্জাম প্রয়োজন তা না থাকলেও যা বা যতটুকু আছে ততটুকু দিয়ে আপাতত কাজ চালিয়ে যেতে হবে। ভাল মানের সামগ্রী ও উপাদান এবং সরঞ্জাম আহরণের বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন আছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, স্পেসাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, মনিরুল হুদা, সুদীপ বসাক, ঝুলুন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সিদ্দিক, বিপ্লব দাশ, মো. ফরহাদুল আলম, মির্জা ফজলুল কাদের, এস্টেট অফিসার মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, মুহাম্মদ ইকবাল হাসান, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, অতিরিক্ত পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৮প্রতিনিধি/এলএ)