‘বড়াইবাড়ী দিবসের’ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চায় রৌমারীবাসী

প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০২১, ২৩:৩৫

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংঘর্ষের ২০তম দিবস পালিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টায় বড়াইবাড়ী ক্যাম্প সংলগ্ন শহীদ মিনারে ফুলের মালা দিয়ে, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রুহুল আমিন। বক্তব্য রাখেন রৌমারী প্রেসক্লাব সভাপতি সুজাউল ইসলাম সুজা, বড়াইবাড়ী ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার আব্দুস সবুর, রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান একেএম ফজলুল হক মন্ডল, রাজীবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সহকারী অধ্যপক মোকলেছুর রহমান, রাজীবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার আব্দুল আজিজ প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা দ্রুত বড়াইবাড়ী দিবদসটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সনদ দেয়ার দাবি জানান।

উল্লেখ্য ২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল ভোরে ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ বাংলাদেশি সীমান্তে অনাধিকার প্রবেশ করে বড়াইবাড়ী গ্রামের ঘুমন্ত মানুষের উপর হামলা চালায় ও বাড়িঘর নির্বিচারে জ্বালিয়ে দেয়। ওই দিন হামলার দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছিল বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি)-জনতা। আর সেই প্রতিরোধে বিএসএফের ১৬ জনের লাশ ফেলে পালিয়ে যায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা।

এ ঘটনায় শহীদ হন ৩৩ রাইফেলস্ ব্যাটালিয়নের ল্যান্স নায়েক ওহিদুজ্জামান, সিপাহী মাহফুজার রহমান এবং ২৬ রাইফেলস্ ব্যাটালিয়নের সিপাহী আব্দুল কাদের। এছাড়া আহত হন বিডিআরের হাবিলদার আব্দুল গনি, নায়েক নজরুল ইসলাম, ল্যান্স নায়েক আবু বকর সিদ্দিক, সিপাহি হাবিবুর রহমান ও সিপাহি জাহিদুর নবী। বিডিআর গ্রামবাসীর পাল্টা আক্রমণে বিএসএফের ১৬ জোয়ান নিহত হয়।

বিএসএফের তাণ্ডবে পড়ে ছাই হয়েছিল বড়াইবাড়ী গ্রামের ৮৯টি বাড়ি। সরকারি হিসাবে মোট ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৭২ লাখ টাকা।

(ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/কেএম)