বন্ধ হয়নি কোচিং, ঠাকুরগাঁওয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

জুনাইদ কবির, ঠাকুরগাঁও
 | প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল ২০২১, ১২:৩৯

করোনা মহামারীর কারণে দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ কোচিং ও প্রাইভেট পড়ানো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় নির্দেশ অমান্য করেই চলছে কোচিং ও প্রাইভেট ‘বাণিজ্য। অভিযান-জরিমানা করেও থামানো যাচ্ছে না তাদের। এর ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও আইন না মানার প্রবণতা যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।

সোমবার সকালে জেলা শহরের বসিরপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সুমন ও সুজন কোচিং সেন্টারে চলছে ক্লাস।

কোচিংয়ের দায়িত্বরতরা বলেন, তারা অনলাইনে কোচিং করাচ্ছেন। তবে কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীরা কী করছে তার কোনো সদুত্তোর দিতে পারেননি তারা। সুমন ও সুজন কোচিংয়ের ব্যাচে পড়াতে দেখা যায় মাছুম বিল্লাহ নামে আরেকজনকে। তিনি সাংবাদিক দেখেই শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দেন।

করোনার উচ্চ সংক্রমণের মধ্যে এভাবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোচিং বা প্রাইভেট পড়ানোয় শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিতে পড়ছে বলে মনে করছেন অনেকে। আর তাদের কারণে পরিবারেও বাড়ছে সংক্রমণ ঝুঁকি।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গত বছরের মার্চ মাসের ১৬ তারিখে দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তারপর থেকে এখনো পর্যন্ত সেই নির্দেশ জারি রয়েছে। এর মধ্যে দেশে করোনার নতুন ঢেউ শুরু হওয়ায় ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। এইসব নির্দেশনার মধ্যেও ক সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশনা মানছে না বেশিরভাগ কোচিং। জরিমানা করেও থামানা যাচ্ছে না তাদের।

গত রবিবাব কোচিং সেন্টারে বিরুদ্ধে অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন। একটি কোচিং সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, লকডাউনে যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, সেখানে অযাচিতভাবে যারা কোচিং বাণিজ্য চালাবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

(ঢাকাটাইমস/১৯এপ্রিল/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :