ইফতারে পাওয়ার ড্রিংক পুদিনার শরবত
ঔষধি হিসেবে পুদিনা পাতার বহুল ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই। যা অনেকেরই অজানা। নিরোগ থাকতে প্রতিদিন ইফতারে পুদিনা পাতার শরবত খেতে পারেন।
বহু বিজ্ঞানীদের দাবি, পুদিনা পাতা ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। পুদিনা পাতার পেরিলেল অ্যালকোহল যা ফাইটো নিউট্রিয়েন্টসের একটি উপাদান দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে।
সর্দি হলে নাক বুজে যাওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো মারাত্মক কষ্ট পান অনেকেই। সেই সময় যদি পুদিনা পাতার রস খান, তাহলে এই কষ্ট থেকে রেহাই পাবেন নিমেষে।
যারা অ্যাজমা এবং কাশির সমস্যায় ভোগেন, তাদের তাৎক্ষণিক উপশমে পুদিনা পাতা বেশ কার্যকরী। খুব বেশি নিঃশ্বাসের এবং কাশির সমস্যায় পড়লে পুদিনা পাতা গরম জলে ফুটিয়ে সেই জলেরর ভাপ নিতে পারেন। ভাপ নিতে অসুবিধা হলে গার্গল করার অভ্যাস তৈরি করুন।
পুদিনা পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যা পেটের যে কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারে খুব দ্রুত।
যারা হজমের সমস্যা এবং পেটের ব্যথা কিংবা পেটের নানান সমস্যায় ভুগে থাকেন, তারা খাবার কাওয়ার পর ১ কাপ পুদিনা পাতার চা খাওয়ার অভ্যাস করুন। ৬/৭টি তাজা পুদিনা পাতা গরম জলে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খুব সহজে পুদিনা পাতার চা তৈরি করতে পারেন ঘরের মধ্যেই।
গরমকালে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখাতে পুদিনার রস খুব ভাল।
পুদিনার শরবত প্রস্তুত প্রণালি
উপকরণ
পুদিনাপাতা ১ কাপ, পানি দুই গ্লাস, লবণ বা বিট লবণ স্বাদমতো, ভাজা জিরা-গুঁড়া এক চা-চামচ, লেবুর রস এক টেবিল-চামচ, কাঁচামরিচ ১টি অথবা স্বাদমতো, ও চিনি নিজের প্রয়োজন মতো।
প্রণালি
পুদিনাপাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে সব উপকরণ ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। ছাঁকনিতে ছেঁকে নিয়ে গ্লাসে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন অথবা ফ্রিজে রেখেও পরিবেশন করতে পারেন।
(ঢাকাটাইমস/১৯এপ্রিল/এজেড)