একজন পুলিশ অফিসার বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন!

প্রকাশ | ১৯ এপ্রিল ২০২১, ২১:২৬

মিজান মালিক

‘এপ্রোন পড়া গাড়িতে স্টিকার লাগানো একজন পেশাদার চিকিৎসকের পরিচয় জানা কী অপরিহার্য ছিল?’

‘ঘটনার চুলচেরা বিশ্লষণ করলে উভয় পক্ষেই অসংখ্য যুক্তি দেখানো যাবে। প্রশ্ন হলো আইন কার জন্য? আইনের জন্য মানুষ না মানুষের জন্য আইন? ৩৪ বছর চাকরি করা একজন পুলিশ সদস্য হিসেবে আমি শুধু এটুকুই বলব আইনের বই হাতে নিয়ে যদি আমরা আইন প্রয়োগ করি তাহলে রাস্তার অর্ধেকেরও বেশি গাড়ি বন্ধ হয়ে যাবে।

এই তো কিছুদিন আগে পৃথিবীর সবচেয়ে সভ্য (?) দেশ আমেরিকায় জজ ফ্লয়েড হত্যা নিয়ে কতই না তুলকালাম ঘটে গেল। আমেরিকান পুলিশের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করে যেটুকু জেনেছি তাতে দুষ্কৃতকারীকে এভাবে গলায় হাটু গেড়ে আটক করার প্রশিক্ষণ তাদেরকে দেওয়া হয়। তাহলে ঐ পুলিশের অপরাধ কোথায়? ওতো প্রশিক্ষণে যা শিখেছে তাই করেছে।

গত কালকের ভিডিও দেখে অবশ্যই যার যার অবস্থান থেকে ব্যাখ্যা করবেন এতে দোষের কিছু নাই তবে অফিসে যাতায়াত কালে এবং বাজারে যে দৃশ্য দেখছি তাতে আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো একজন এ্যাপ্রণ পরা ডিউটি থেকে ফেরা স্টিকার লাগানো গাড়িতে বসা ডাক্তারের পরিচয় পত্র দেখার কি খুব অপরিহার্যতা ছিল?

আমরা কি সর্ব ক্ষেত্রে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করি? রাত ১২ টায় ৩৩ বেসের একজন বিসিএস মহিলা ডাক্তার বাসায় দুটি কন্যা শিশু রেখে ৬০ জন করোনা রোগীর চিকিৎসা দিয়ে মুহদা মেডিকেল থেকে ফার্মগেট নিজ ব্যবস্থায় টেক্সিতে করে যখন বাসায় ফিরে তার নিরাপত্তার বিষয়টি কি আমরা কখনও চিন্তা করি? অন্য ক্যাডারের অফিসাররা কি এভাবে নিজ ব্যবস্থায় সরকারী কাজে যাতায়াত করে? প্রশ্ন অনেক উত্তর অজানা।’

লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)

ঢাকাটাইমস/১৯এপ্রিল/এসকেএস