যেসব কাজে রোজা ভাঙে না

প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০২১, ০৭:৪৭

ইসলাম ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

রোজা ইসলামের বিধান। তাই রোজার মাসলা-মাসায়েল সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। রোজার মাসয়ালা জেনে রোজা পালন আবশ্যক। অনেক সময় প্রয়োজনীয় বিধানগুলো জানা না থাকার কারণে সারাদিন উপোস থাকার পরও রোজা হয় না। এ কারণে শরিয়তে প্রয়োজনীয় জ্ঞান শিক্ষা করাকে ফরজ করা হয়েছে। বিশুদ্ধভাবে রোজা পালনের জন্য যতটুকু ইলম বা জ্ঞান দরকার ধর্মীয় দৃষ্টিতে তা ফরজ বা অবশ্যই পালনীয়।

অনেকে এসব বিধান না জেনেই মনে করে রোজার ক্ষতি হয়েছে বা রোজা ভেঙে গেছে। অথচ বাস্তবতা হলো এসব কাজে রোজা ভাঙে না, রোজার কোনো ক্ষতিও হয় না।

ভুলবশত পানাহার

রোজাদার রোজা রেখেছেন এই কথা ভুলে গিয়ে যদি পানাহার করেন এবং রোজার কথা মনে হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানাহার থেকে বিরত থাকেন তবে রোজা ভাঙে না। তবে রোজার কথা স্মরণ হওয়ামাত্রই পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে। স্মরণ হওয়ার পর অতি সামান্য দানা-পানিও গলায় প্রবেশ করলে রোজা থাকবে না।  

এ বিষয়ে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যদি কেউ রোজা অবস্থায় রোজার কথা স্মরণ না থাকার দরুণ পানাহার করে ফেলে তাহলে সে তার রোজা পূর্ণ করবে। কেননা, আল্লাহ তাকে এ পানাহার করিয়েছেন।

চোখে কিছু প্রবেশ করালে

চোখে ড্রপ, মলম, সুরমা, কাজল, মাশকারা ইত্যাদি ব্যবহার করলে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। এমনকি চোখ দিয়ে প্রবেশ করে মুখে ও খাদ্যনালীতে স্বাদ অনুভূত হলেও রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। 

একদা এক লোক নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে এসে জিজ্ঞাস করলো, আমি কি রোজা রেখে চোখে সুরমা ব্যবহার করতে পারব? উত্তরে তিনি বললেন, হ্যাঁ।

বমি হলে

অনিচ্ছাকৃতভাবে অনেক বেশি বমি হলেও রোজা ভাঙে না। 

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, অনিচ্ছায় যার বমি হলো- তার রোজা কাজা করতে হবে না। 

কীট-পতঙ্গ পেটে গেলে

মশা-মাছি বা অন্যকোনো কীট-পতঙ্গ অনিচ্ছাকৃতভাবে পেটে প্রবেশ করলে রোজা ভাঙবে না। তদ্রুপ কানে কোনো ঔষধ প্রবেশ করালে রোজা ভাঙবে না।

স্বপ্নদোষ হলে

স্বপ্নদোষের কারণে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। রাতের অপবিত্রতা দিন পর্যন্ত বাকি থাকলেও রোজা ভাঙে না।

মুখে ধুলাবালি প্রবেশে

অনিচ্ছাকৃত মুখে, ধোঁয়া, ধুলাবালি অনিচ্ছায় গলায় গেলে রোজা ভাঙবে না।

ত্বকে লোশন মাখলে 

শরীরে তেল, লোশন ইত্যাদি ব্যবহার করলে রোজার ক্ষতি হয় না।

রক্ত দিলে

রোজা রেখে রক্ত দিতে-নিতে কোনো সমস্যা নেই। 

ইনজেশন, স্যালেইন দিলে

ইনজেকশন, স্যালাইন নিলে রোজা ভাঙে না। এমনকি গ্লুকোজ স্যালাইনেও রোজা ভাঙে না। তবে কঠিন প্রয়োজন ব্যতীত গ্লুকোজ স্যালাইন নেওয়া মাকরুহ। মস্তিষ্কে অস্ত্রপচারকালে মস্তিষ্কের ভেতরে কোনো ঔষধ ব্যবহার করলে বা মস্তিষ্কে পৌঁছবে এমন কোনো ঔষধ মাথার ক্ষতে ব্যবহার করলে রোজার ভাঙবে না।

ওষুধের ব্যবহার

পুরুষ-মহিলার প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে কোনো ঔষধ বা কোনো কিছু প্রবেশ করালে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। উরুর গোড়া দিয়ে কেটে বিশেষ রগ দিয়ে হার্ট পর্যন্ত ক্যাথেটার ঢুকিয়ে হার্টের যে পরীক্ষা করা হয় তাতে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।

(ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/এজেড)