করোনা ও জনপ্রতিনিধি-২

‘দায়িত্ব পাইনি, নিজ উদ্যোগেই সংক্রমণ রোধে কাজ করছি’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল ২০২১, ০৮:৩২

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউন অনেকটা শিথিল হয়ে পড়েছে। সড়কে-মহল্লায় জন-চলাচল প্রায় স্বাভাবিক। এ অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা জনপ্রতিনিধিদের নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইসহাক মিয়া।

এ ব্যাপারে নগর ভবন থেকে কোনো দায়িত্ব দেয়া হয়নি। তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজ ওয়ার্ডে করোনার সংক্রমণ রোধে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এই জনপ্রতিনিধি।

ঢাকা টাইমসের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় কাউন্সিলর ইসহাক মিয়া বলেন,‘নগর ভবন থেকে আমাদেরকে এখনো কোনো দায়িত্ব দেয় নাই। আমাদের নিজেদের থেকে আমরা চেষ্টা করছি, যে কাঁচাবাজারগুলো আছে, সেগুলো দূরত্ব মেনে খালি জায়গায় বসানোর জন্য। এটার কাজ চলছে। এছাড়া বাজার মনিটরিং করছি। যাতে যারা ক্রেতা এবং বিক্রেতা আছেন, উভয়ে দূরত্ব বজায় রাখে।’

উত্তর সিটির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডটি করপোরেশনের ১ নম্বর অঞ্চলের অধিভুক্ত। খিলক্ষেত, কুড়িল, কুড়াতলী, জোয়ারসাহারা, অলিপাড়া (আংশিক), জগন্নাথপুর, , নিকুঞ্জ-১ ও ২ এবং টানপাড়া এলাকা নিয়ে গঠিত ওয়ার্ডটির আয়তন ৫ দশমিক ৪৭ বর্গ কিলোমিটার। বিশাল এই ওয়ার্ডে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যাও অনেক।

নিকুঞ্জ-১ ও ২ ছাড়া অন্যান্য এলাকাগুলোকে তুলনামূলক দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের বসবাস রয়েছে। দিনমজুর শ্রেণির এসব মানুষের কাছে স্বাস্থ্যবিধি যেন বিলাসিতা। চলমান লকডাউনেও তারা বাইরে বের হয়ে এসেছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সড়কে বিপুল পরিমাণ মানুষের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে প্রতিদিনই।

করোনার সংক্রমণ রোধে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নাগরিকদের জন্য কাজ করা নিজেদের নৈতিক দায়িত্ব উল্লেখ করে এই কাউন্সিলর বলেন, ‘আমরা যেহেতু জনপ্রতিনিধি, আমরা জনগণের মঙ্গল চাই। আমাদের যে ওয়ার্ড আছে, সেখানে আমরা আমাদের জায়গা থেকে জনগণকে সচেতন করার জন্য চেষ্টা করছি। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। এগুলো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। দায়িত্ব কে দিল বা না দিল, সেটা বড় জিনিস না। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাদের কিছু দায়িত্ব কিছু কর্তব্য আছে।’

জনগণের একটি বড় অংশ চলমান লকডাউনেও সতর্ক নয়। নগরীর পাড়া-মহল্লায় তাদের অবাধ চলাচল। জনগণকে সচেতন করতে প্রচার-প্রচারণার তাগিদ দেন এই জনপ্রতিনিধি। বলেন, ‘পাড়া মহল্লায় যত কথাই বলেন, মানুষজন যদি সচেতন না হয়, আপনি-আমি বা প্রশাসন চেষ্টা করলেই পারব না। সবারই আরও সচেতন হওয়া উচিত। সচেতন করতে হলে এর আরও প্রচার-প্রচারণা আরও বাড়াতে হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/কারই/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :