ডাক্তার, ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ!

মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন
| আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২১, ১১:২০ | প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল ২০২১, ১১:০৩

জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নয় অ্যালফাবেটিক্যালি (ইংরেজিতে) বসালাম এই তিনটি পেশার নাম। যদি সবগুলো পেশা এভাবে বসাই তবে এই সিরিয়ালে সবার আগে আসে- 'আর্টিস্ট' বা 'শিল্পী'। জি, আর্টিস্ট।

সমাজের তাদের অবস্থান কোথায় তা নিয়ে বিতর্ক ২০২৫ সালে করা যাবে, যদি বেঁচে থাকি। আপাতত তাদের নিয়ে ভিন্ন কথা বলতে চাই।

শুক্রবার চলে গেলেন কিংবদন্তি নায়িকা 'কবরি'। শনিবার গেছেন রূপকথা রাজকুমার নায়ক 'ওয়াসিম'। আবার, রবিবার সেই সারিতে যোগ দিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় অভিনেতা ও শিক্ষক মহসিন ভাই। অন্যদিকে সিঙ্গাপুরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন মিয়াভাই 'ফারুক'।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ আছেন অসংখ্য শিল্পী যাদের দিয়ে মাখামাখি আমাদের শৈশব-কৈশোর-যৌবনের অনেক মধুর স্মৃতি। আইয়ুব বাচ্চু, সুবীর নন্দী, এন্ড্রো কিশোর বিগত কয়েক বছরে একে একে চলে গেছেন নানা রোগে ভুগে। তাঁরা যে আমাদের কতটা মায়াবী স্মৃতিরজনক ছিলেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

এভাবে আর এই মানুষদের আমরা হারাতে চাই না। তাই আপাতত যারা বেঁচে আছেন৷ অসুস্থ আছেন, বিপদে আছেন তাদের জন্য আমরা সবাই মিলে কিছু করতে চাই।

শিল্পী মানেই আবেগের ডিব্বা। ৮-১০ জন বাদে বাকিদের আয়-উপার্জন এদেশে খুব একটা বেশি না। আয় যাই থাক না কেন তারা মৃত্যুকে মেনে নিলেও কারো কাছে মাথা নত করে না। রাস্তায় দাঁড়িয়ে উচ্চবাচ্য আর অহংকার নিয়ে বলে না –‘জানো, আমি কে?’ তারা নীরবে নিভৃতে নিজেকে লুকিয়ে রাখে। শত ঝড়-ঝঞ্ঝাটেও কাউকে কিছু না বলে অনায়াসে মৃত্যুকেই আপন করে নেয়। কিন্তু, আমরা তো মেনে নিতে পারি না তাদের শূন্যতা।

তাই যে সকল শিল্পী সুস্থ আছেন কিংবা নেতৃত্বে আছেন, তাদের কাছে আবেদন অসুস্থ শিল্পীদের জন্য সুচিকিৎসা, রক্ত, অর্থ, সেবা, দোয়া যার যা দরকার তার জন্য একটা 'কেন্দ্রীয় শিল্পী মোর্চা' গঠন করুন। সমন্বিত উদ্যোগে তাদের পাশে দাঁড়ান। আমাদেরও পাশে রাখুন। যদিও আপনারা যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তবুও তাদের আরো খবরাখবর নিয়মিত প্রকাশ করুন। দেখুন, আমরা যারা তাদের (আপনাদের) ভালোবাসি তারা কতটা কি করতে পারি… ইনশাল্লাহ।

আর একজন শিল্পীও যেন সুচিকিৎসার অভাবে কিংবা অবহেলায় মারা না যায়। আল্লাহ তাদের এবং দেশের সকল শ্রেণির মানুষের সুস্থতা এবং নিরাপত্তা দিন, আমিন।

যা দিয়ে শুরু করেছিলাম। কোনো পেশাই ছোট বা বড় নয়। সবাইকে সবার লাগে। সে কারণেই একেকটি পেশার জন্ম। তাই পারস্পারিক শ্রদ্ধা, কমন সেন্স আর নিয়ম মানা ছাড়া নিজ পেশাকে সম্মানিত করার আর কোনো উপায় নেই।

বাকি আলাপ ২০২৫-এ হবে। আপাতত নিজে বাঁচুন এবং অপরকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন।

লেখক: পুলিশ সুপার, এন্টি টেররিজম ইউনিট, বাংলাদেশ পুলিশ

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :