মা কি পারবে সন্তান হারানো যন্ত্রণা ভুলতে?
গত কয়েকদিন ফেসবুকের সমস্যা কারণে লাইক দেওয়া ছাড়া আমার কোনো কাজ ছিল না। তাছাড়া এমনিতেই আমি তেমন কিছু লিখি না। কারণ আমার কোনো অনুভূতি নেই। কেন নেই সেটা নিজেও জানি না। তো গত কয়েক দিন ফেসবুকে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ঘটনায় একটি ছবি ভেসে বেড়াচ্ছে। যতবার সেই ছবি দেখছি, আর কষ্টে বুকটা কেমন হাহাকার করে উঠছে। কিভাবে এই মা সন্তান হারানো শোক সহ্য করছে, এটাই মাথায় আসছে না।
হয়তো জীবনের নিয়মে কয়েকদিন পরে সবকিছু ভুলে যাব। আবার কোনো ফুটবল, ক্রিকেট জয়ের আনন্দে উচ্ছ্বসিত হব। কিন্তু এই মা কি পারবে তার সন্তান হারানো যন্ত্রণা ভুলতে? তাকে কি আমার বলতে পারবো তোমার সন্তানের রক্তের লাল স্রোতে সব অন্যায় মুছে গিয়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এবার তুমি চোখ খুলে পৃথিবীটা দেখ। সেখানে আর কোনো মা তার সন্তান হারানো যন্ত্রণা বুকে নিয়ে অভিশাপ দিবে না আমাদেরকে।
এই দেশে শ্রমিকের রক্ত নেওয়া বা দেওয়া ইতিহাস খুব পুরানো। কিন্তু তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয় না। কেউ তাদের রক্তের ওপর দিয়ে প্রসাদ গড়ে। আবার কোনো শ্রমিক নেতা তাদের রক্তের ওপর দিয়ে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের ইতিহাস রচনা করে। এইভাবে চলে বা হয়ে আসছে যুগ-যুগ ধরে।
লেখক :আব্দুল হালিম আদিত্য রিমন,সাংবাদিক
ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/এসকেএস