স্কুলের ফটকে তালা ঝুলিয়ে ভেতরে চলছে ক্লাস

প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০২১, ১৩:২৯

মোহাম্মদ আরজু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

স্কুল প্রাঙ্গণের মূল গেইটে তালা ঝুলছে। বাইরে থেকে মনে হয় স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ। কিন্তু ভিতরের চিত্র উল্টো। প্রতিটি রুমেই শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট কোচিং চলছে। দ্বিতীয় দফার ঢেউয়ে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারি-বেসরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে সরকার। কিন্তু অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই সেই মানছে না তা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের পয়াগ এ. আলীম একাডেমি তেমনই একটি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মূল ফটক বন্ধ রেখে প্রতিষ্ঠানটির পিছনের গেইট দিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করে নিয়মিত ক্লাস করছে এবং কয়েকটির শ্রেণীর পরীক্ষাও নেয়া হচ্ছে। একাডেমীর প্রতিটি রুমে রুমে গিয়ে দেখা যায় শিক্ষকরা ক্লাস ও পরীক্ষা নিচ্ছে। স্বাস্থ্য বিধি না মেনে ঠেসাঠেসি করে একজনের সাথে বসে আছে। সাংবাদিক উপস্থিতি টের পেয়ে সবাই চলে যেতে শুরু করে।

স্কুল খোলার বিষয়ে শিক্ষকদের জিজ্ঞাসা করলে কোন উত্তর না দিয়ে চলে যান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বলেন, এমনিতে লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলকে চলার জন্য বলা হয়েছে। সে জায়গায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলে নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছে। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাবে।

স্কুল খোলা রাখার বিষয়ে জানতে চাইলেএ. আলীম একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা ফারুক মিয়া প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে তিনি বলেন, ‘বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকরা খুবই কষ্টের মধ্যে আছে। আমরা না খেয়ে মরছি। তাই চালু রাখা হয়েছে।’

 এ দিকে শহরের ভাদুঘর এলাকায় প্রফেসি কিন্ডার কিন্ডারগার্ডেন নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কৃর্তপক্ষ। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্কুল কৃর্তপক্ষ নিয়মিত মাসিক বেতনসহ অন্যান্য ফিস আদায় করে নিচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন অভিভাবক বলেন, অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে বাধ্য করছেন এবং নিয়মিত মাসিক বেতনসহ অন্যান্য ফিস আদায় করছেনন।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়া সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৯এপ্রিল/পিএল)