কুমিল্লায় ছাত্রলীগ নেতা দিপু হত্যার চেষ্টায় বিচার দাবি

কুমিল্লা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল ২০২১, ১৮:১১

কুমিল্লার দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও কুমিল্লা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান দিপুকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে করা হয়েছে। বর্তমানে দিপু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ছেলের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে বিচার চেয়েছেন তার মা আলেয়া বেগম ও বাবা আবুল কাশেম।

হত্যার চেষ্টার ঘটনায় ১৭ এপ্রিল কুমিল্লার আদর্শ সদু উপজেলার বিবির বাজার এলাকার গাজীপুর এলাকার সফিক মিয়া (৫৭), ছেলে রাসেল (২৫), ভাই আবু তাহের (৪০), ভাই রহমত উল্লাহ (৩৫) ও ভাড়াটে হোসেনসহ (৪৫) অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে ছোট ভাই মো. রেজাউল হাসান হৃদয় বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

বাদী রেজাউল হাসান হৃদয় জানান, মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাদের অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। অজ্ঞাত কারণে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না। আসামিদের গ্রেপ্তার না করাতে আমাদের গোটা পরিবার এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।

মা আলেয়া বেগম জানান, তার ছেলে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। কোন অপরাধ করেননি তার ছেলে দিপু। কেন সন্ত্রাসী সফিক ও তার পালিত সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে তার ছেলেকে মারল। সে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার রাজনীতি করা কি তার অপরাধ। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ও প্রশাসনের কাছে এর বিচার দাবি করেন।

দিপুর চাচাতো ভাই ও ব্যবসায়ীক পার্টনার মো. রোকন উদ্দিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক ইজারা নিয়ে গোমতী নদীর একটি ঘাট দিয়ে বৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছি। ইজারা পাওয়ার পর থেকেই সন্ত্রাসী সফিক প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হাসান দিপু চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে বিভিন্ন সময় অফিসে এসে হুমকি এবং বেশ কয়েকবার মালামাল চুরি করে। চাঁদা না পাওয়ার জের ধরে দিপুকে হত্যার উদ্দ্যেশে গত (১৬ এপ্রিল) দুপুরে গোমতী নদীর চরে বালুর মহালের সামনে ও গোমতী বেড়িবাঁধের রাস্তার উপর কুমিল্লার একাধিক মামলার আসামি, শীর্ষ সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত চাঁদাবাজ সফিক মিয়ার নেতৃত্বে রাসেল, আবু তাহের, রহমত উল্লাহ ও হোসেনসহ আরও ৩/৪ জন অবস্থান নেয়। পরিকল্পনা অনুসারে জেলা ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হাসান দিপুকে একা পেয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে মৃত ভেবে পালিয়ে যায়। এসময় দিপুর ইজারাভুক্ত বালু মহালের অফিসরুমসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র, বালু উত্তোলনের সরঞ্জাম ও ড্রেজার মেশিন ব্যাপক ভাঙচুর করে ও অগ্নিসংযোগ করে।

খবর পেয়ে আমরা ছাত্রলীগ নেতা দিপুকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

মামলার প্রধান আসামি সফিক মিয়ার বক্তব্য নেয়ার জন্য মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার এসআই কিবরিয়া বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের কোন অবহেলা নেই। আমি মঙ্গলবারও আসামিদের বাড়িতে অভিযানে গিয়েছি। তারা আত্মগোপনে আছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

(ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :