পাঠকাঠি ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১

মাদারীপুরের শিবচরে পাঠকাঠি ভাগাভাগি নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে খবির শেখ (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো সাতজন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খবির শেখ মারা যায়। এর আগে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার কাঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাবু মোল্লারকান্দি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত খবির শেখ ওই এলাকার মৃত হাছেন শেখের ছেলে।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে খবির শেখের চাচাতো ভাই শাজাহান শেখ ও তার চাচাতো বোন হালিমার মধ্যে পাটকাঠি ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্ধ হয়। এ ঘটনায় সোমবার বিকালে ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সাইদ বেপারীর মধ্যস্থতায় শালিসি বৈঠক হয়। শালিসের শেষের দিকে প্রতিবেশী ফজলু মাদবর ও খবির শেখের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ফজলু মাদবর ও তার বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খবির শেখের বাড়িতে এসে তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় খবির শেখ, তাহমিনা, হোসনেয়ারা পাখি, পারভেজ শেখ, জসিম শেখ, শান্ত, সিয়াম ও নুরজাহান আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তবে এর মধ্যে খবির শেখের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাতেই খবির শেখের পক্ষের লোকজন ফজলু মাদবরসহ কয়েকজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করা হয়। আহতরা এই হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

নিহতের ছেলে পারভেজ বলেন, ‘আমার বাবাকে ওরা মেরে ফেলেছে। আমি ওদের ফাঁসি চাই।’

নিহতের চাচাতো ভাই শাজাহান শেখ বলেন, ‘আমাদের মেম্বারের কাছে দ্বন্দ্বের বিষয়টি জানালে, তিনি বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। তবে বিচারের শেষের দিকে ফজলু মাদবর আর খবির শেখের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় ফজলু মাদবর ও তার ভাইয়েরা মিলে খবির শেখসহ ৫/৭ জনকে কুপিয়ে আহত করে। এতে খবির শেখের মৃত্যু হয়। আমি ওদের বিচার চাই।’

ঘটনার পর থেকে ফজলু মাদবর বাড়ি থেকে পালিয়েছে বলেও জানান তিনি।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন জানান, সংর্ঘষের ঘটনায় ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সোমবার রাতেই এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

(ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/পিএল)