সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের নিকৃষ্টতম দেশ চীন: আরএসএফ

প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০২১, ১৯:৫৪ | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২১, ১৯:৫৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

রিপোর্টাস উইদাউট বর্ডাস (আরএসএফ) নামে সাংবাদিকদের নিয়ে কাজ করা একটি সংগঠন বলছে, বিশ্বে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে খারাপ জায়গা হলো চীন। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, চীন সরকার ইন্টারনেট সেন্সরশিপ চালু রেখেছে এবং নজিরবিহীনভাবে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নজরদারি এবং প্রপাগান্ডা অব্যাহত রেখেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যম কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে, তার ভিত্তিতে ২০০২ সাল থেকে সূচক প্রকাশ করে আসছে আরএসএফ।  এবছরও বিশ্বের দেশগুলোর সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচক প্রকাশ করেছে প্যারিসভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস।

মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশের দিক দিয়ে এবারের প্রতিবেদনের শীর্ষ দশ দেশ হল- নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, ডেনমার্ক, কোস্টা রিকা, নেদারল্যান্ডস, জ্যামাইকা, নিউ জিল্যান্ড, পর্তুগাল ও সুইজারল্যান্ড।

আর তালিকায় তলানীতে, অর্থাৎ ১৮০ নম্বরে থাকা দেশটি ইরিত্রিয়া। উত্তর কোরিয়া ও চীনের অবস্থান যথাক্রমে ১৭৯ ও ১৭৭ নম্বরে। শিল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য ৩৩তম, যুক্তরাষ্ট্র ৪৪তম এবং জাপান ৬৭তম অবস্থানে রয়েছে।

সাতটি মাপকাঠিতে বিচার করে একটি দেশের সংবাদমাধ্যম কতটা স্বাধীনতা ভোগ করছে তা বোঝার চেষ্টা করেছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস। এই সাতটি মাপকাঠি হল- সংবাদমাধ্যমে বহু মতের প্রকাশ, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ, পরিবেশ ও স্ব-আরোপিত সেন্সরশিপ, আইনি কাঠামো, সংবাদমাধ্যমের কাজে স্বচ্ছতা, অবকাঠামো, সংবাদকর্মীদের ওপর নিপীড়ন।

সবগুলো মাপকাঠির স্কোরের গড় করে তৈরি করা হয় একটি দেশের গ্লোবাল স্কোর। ১০০ পয়েন্টের এই সূচকে যে দেশের স্কোর যত কম, সে দেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা তত বেশি বলে ধরা হয়।

আরএসএফের মহাসচিব সূচক প্রকাশের সঙ্গে এক বিবৃতিতে বলেছেন, অতথ্যের বিরুদ্ধে সবথেকে উত্তম প্রতিষেধক (ভ্যাকসিন) হলো সাংবাদিকতা।

রিপোর্টে চীনের বিষয়ে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ১২০টি দেশের মধ্যে চীন সাংবাদিকদের জন্য সবথেকে বড় কারারক্ষীর অবস্থান ধরে রেখেছে। দেশটিতে সাংবাদিকদের প্রায়ই মৃত্যুর হুমকি পেতে হয়। ২০১৯ সালের শেষের দিকে দেশটিতে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর মিথ্যা গুজব ছড়ানোর অভিযোগ তুলে ৪৫০ জনের বেশি সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে।  এছাড়া আরএসএফ জানিয়েছে, চীনে বিদেশি করেসপন্ডেন্টদের হয়রানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সালের প্রথমার্ধে অন্তত ১৮ জন বিদেশি সাংবাদিককে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং বিবিসিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।  

(ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/কেআই)