সারেগামাপা বিতর্কে ঝাঝালো জবাব জয় সরকারের

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ এপ্রিল ২০২১, ১০:১৮

কলকাতার টিভি চ্যানেল জি বাংলায় অনুষ্ঠিত গান বিষয়ক রিয়্যালিটি শো ‘সারেগামাপা’ অনুষ্ঠানটি বেশ ভালো বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। গত রবিবার হয়ে গেল শো-এর গ্র্যান্ড ফিনালে। সেখানে অর্কদীপ নামে লোকগানের এক শিল্পীকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ঘোষণা করেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় সুরকার ও গায়ক জয় সরকার। ব্যাস, এরপর থেকেই জয়কে নিয়ে চতুর্মুখী ট্রোল আর বিতর্ক।

পরিষ্কার করে বলতে গেলে, অর্কদীপকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করায় জয়ের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ দর্শক-শ্রোতারা। রবিবার রাতে ফল ঘোষণার পর থেকেই তিনি খলনায়ক। নেটিজেনদের অভিযোগ, জয় সরকার ঘুষ নিয়ে ওই প্রতিযোগীকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন। কেউ আবার বলেছেন, গান-বাজনা না শিখেই বিচারক হয়েছেন জয়। তাই অর্কদীপের মতো শুধু লোকগানের শিল্পীকে সেরার শিরোপা দিলেন।

কেউ কেউ আবার অভিযোগ করেন, আগে থেকেই সব কিছু ঠিক করা ছিল। তাই আনুশকা, নীহারিকা, বিদীপ্তা, জ্যোতির মতো প্রতিযোগীকে ছাপিয়ে গেছেন অর্কদীপ। ওর এই সম্মান পাওয়ার যোগ্যতাই নেই।

কয়েকদিন মুখ বুজে থাকার পর অবশেষে এত অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন জয় সরকার। তার সুর যথেষ্ট আক্রমণাত্মক! মঙ্গলবার ইনস্টাগ্রামে অকপটে স্বীকার করলেন, অভিযোগ শুনে তিনি আক্ষরিক অর্থেই মুষড়ে পড়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘শো-এর শুরু থেকেই আমাকে নিয়ে ট্রোলিং শুরু হয়েছিল। সেই ট্রোলিংয়ের গ্র্যান্ড ফিনালে উদযাপিত হল সোমবার।’ জয়ের দাবি, ‘সারেগামাপা’ প্রচণ্ড জনপ্রিয় বলেই তা নিয়ে এত বিতর্ক।

এই সওরকার ও গায়ক বলেন, ‘দর্শক-শ্রোতাদের এই ‘ভালোবাসার ভর্ৎসনা’কে তিনি মাথা পেতে নিচ্ছেন। পাশাপাশি প্রশ্ন তুলেছেন, গত ১০ বছর ধরে তিনি ‘সারেগামাপা’ রিয়্যালিটি শো-এর সঙ্গে যুক্ত। তাহলে ১০ বছর ধরেই কি তিনি ঘুষ নিচ্ছেন? সঙ্গে স্বীকার করে নিয়েছেন, তিনি গান-বাজনা সত্যিই জানেন না। জয়ের কথায়, তিনি নিজে অতিসাধারণ। তাই তার পক্ষে মাত্র ৩০ বছরে গান-বাজনাকে জানা সম্ভব নয়।

এর পরেই তিনি ‘পূর্বনির্ধারিত ফলাফল’-এর মতো অভিযোগ অস্বীকার করেন। জয়ের কথায়, দর্শক-শ্রোতাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয় কোন নিয়ম মেনে প্রতিযোগিতা হয়। চিত্রনাট্য মেনে আমরা কিছু করে থাকি। আমরা শুধু প্রতিযোগীদের নাম জানি, তারা কী গাইছে সেটা জানি আর তাদের নামের পাশে নম্বর বসাই। স্কোর বোর্ডে নম্বর দিই।’

জয় বলেন, ‘ফাইনাল রাউন্ডে যে চার জন প্রতিযোগী উঠেছিল, তাদের বাইরেও এমন অনেক প্রতিযোগী ছিলেন, যাদের কণ্ঠ, গায়কী কান পেতে শোনার মতো। কিন্তু নিয়ম মেনে ফাইনালে ছয় থেকে চার জনই উঠবে। সেখান থেকে ‘সেরা’ হবে একজন।’

সুরকারের আফসোস, ‘ট্রোলিংয়ের ক্ষেত্রে নেটিজেনরা যতটা ঐক্যবদ্ধ, ততটাই যদি বাংলা গানের ক্ষেত্রে হতেন, তাহলে সমস্ত এফ এম চ্যানেলে বাংলা বেসিক গান বাজত!’

ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :