এই গরমে সুস্থ থাকতে করণীয়

প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০২১, ১১:০১ | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২১, ১১:১২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চৈত্রের কাঠফাটা রোদ বইছে বৈশাখেও। প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। করোনা মহামারি ঠেকাতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। ফলে মানুষ গৃহবন্দি। অন্যদিকে চলছে সিয়াম সাধনার মাস রমজান। এই সময়ে শরীরে পানিশূণ্যতা দেখা যায়। গরমে কীভাবে সুস্থ থাকা যায় সেই বিষয়ে নানা পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এস এম ইয়ার-ই-মাহাবুব।

 

ভ্যাপসা গরম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষত শিশু, বৃদ্ধ আর গর্ভবতী মহিলাদের জন্য। এদের সাবধানে না রাখতে পারলে বিপদের কারণ হতে পারে।

 

এই গরমে নিম্মোক্ত স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা বেশি দেখা দিতে পারেঃ

 

পানিশূন্যতা ও রক্তে লবন বা সোডিয়াম পটাসিয়াম কমে যাওয়া

 

ঘামের সাথে ও বাষ্পীভবনের মাধ্যমে শরীরে পানির পরিমাণ কমে যাওয়া আর পরিমাণমত পানি পান না করা ও লবণ জাতীয় খাবার না খাওয়া থেকে এরকম হয়ে থাকে।

 

রোদ-জ্বলা বা সান-বার্ন

 

বিশেষ করে অতিবেগুনী রশ্মিতে পুড়ে গিয়ে চামড়ায় এই রোগ দেখা দিতে পারে।

 

শরীর উত্তপ্ত হয়ে যাওয়া

 

আশেপাশের বেশি তাপমাত্রায় অনেকক্ষণ থাকলে শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণের নিজস্ব ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এ অবস্থা হতে পারে, যা প্রথমে হিট এক্সহস্টশন হিসাবে দেখা দেয়।  অবস্থা আরও খারাপ হলে হিট ক্র‍্যাম্পস ও  হিট স্ট্রোক হতে পারে- যা প্রায়শই মৃত্যুর কারন হয়।

 

চোখের প্রদাহ, ছানি ও অন্ধত্ব।

 

পানিতে ডোবা ও আগুনে পোড়ার ঘটনা বেড়ে যাওয়া।

 

ডায়রিয়া,  বমি, কিডনি বৈকল্য,  জীবাণু সংক্রমণ,  এলার্জি, চর্মরোগ,  শ্বাসনালীর প্রদাহ।

 

করণীয় ও সাবধানতাঃ

 

পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা। বেশি বেশি পানি পান করা। লবণের ঘাটতি পূরণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

 

খোলা জায়গায় গরমে ও কড়া রোদে বের না হওয়া। বিশেষ প্রয়োজন হলে ছাতা, রোদ চশমা ইত্যাদি সঙ্গে রাখা। প্রয়োজনে সান-স্ক্রিন ক্রীম ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

অসুস্থ বা বয়োবৃদ্ধ বা কোন বাচ্চা যাতে গরম কক্ষে বা স্থানে অনেকক্ষণ পড়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।  পানিশূন্যতা এড়াতে পারলে আর উপরোক্ত নিয়ম মানলে হিট এক্সহস্টশন থেকে বাঁচা যায়। এক্ষেত্রে পানি পান করার পাশাপাশি  ঠান্ডা পরিবেশে গায়ের সমস্ত কাপড় খুলে পাখার বাতাসে পানি দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে পানি যাতে বেশি ঠান্ডা না হয়।

 

হিট স্ট্রোক একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি বা জরুরি অবস্থা।  এতে মৃত্যুহারও বেশি। উপরোক্ত সকল নিয়ম মেনে রুগীকে জরুরি হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।

 

(ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/এএ/এজেড)