এপ্রিলের ১৫ দিনেই রেমিট্যান্সে রেকর্ড

প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০২১, ১৪:২৭ | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২১, ১৫:১০

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রভাবের মধ্যেও এপ্রিলের ১৫ দিনে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যা গত ফেব্রুয়ারি পুরো মাসের তুলনায় ৮ এবং গত বছরের এপ্রিলের পুরো মাসের তুলনায় ৫০.৪০ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১১৫ কোটি ৩২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। গত বছর (২০২০ সাল) এপ্রিলের পুরো মাসে (৩০ দিনে) রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার। সেই হিসাবে ১৫ দিনেই পুরো মাসের চেয়ে ৬ কোটি ৩ লাখ ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। 

প্রবাসী আয়ের এ গতি অব্যাহত থাকলে চলতি এপ্রিল মাস শেষে রেমিট্যান্স আহরণ ২৩০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

তবে ব্যাংকাররা বলছেন, সব সময় ঈদের আগে প্রবাসীরা দেশে বেশি অর্থ পাঠান। সামনে ঈদুল ফিতর। ঈদ উপলক্ষে মাসের বাকি দিনগুলোতেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে। এ মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স আসবে- প্রত্যাশা তাদের।

এর আগে করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে গত বছরের জুলাই‌ মাসে মাইলফলক রে‌মিট্যান্স পায় বাংলাদেশ। ওই মাসে প্রবাসীরা প্রায় ২৬০ কোটি ডলার রে‌মিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এর আগে কোনো একক মাসে এত রে‌মিট্যান্স আসেনি।

ওয়েব আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ৬ থেকে ৭ লাখ মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজারে প্রবেশ করেন। তারা বছরে প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা। এ অংক দেশের মোট রপ্তানি আয়ের অর্ধেকের বেশি।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছেন, এমন অনেক দেশে এখনো লকডাউন হয়নি। আবার লকডাউন হলেও পরিবার চালাতে ঋণ করে হলেও অনেকে টাকা পাঠাচ্ছেন। করোনার কারণে উন্নত দেশ থেকেও আয় আসা বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মার্চ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। এটি আগের মাস ফেব্রুয়ারির তুলনায় প্রায় ৮ শতাংশ এবং গত অর্থবছরের একই মাসের চেয়ে ৫০.৪০ শতাংশ বেশি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। আর গত অর্থবছরের মার্চ মাসে মাত্র ১২৭ কোটি ৬২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। সব মিলে চলতি অর্থবছরের (জুলাই-মার্চ) প্রথম ৯ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৮৬০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৮২ কোটি ৯১ লাখ ডলার বা ৩৫.০৫ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। আর গত অর্থবছরের পুরো সময়ে এসেছিল এক হাজার ৮২০ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

(ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/আরএ/কেআর)