দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল
রাজধানীর মতিঝিল থানায় করা নাশকতা মামলায় ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে মতিঝিলে বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মিছিল থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলাটি করা হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, মতিঝিল থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে ভার্চুয়ালি তাকে আদালতে হাজির করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রাষ্ট্রবিরোধী, উস্কানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে গাছা থানা পুলিশ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছিল। রিমান্ড শেষে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গাছা থানা থেকে প্রিজন ভ্যানে করে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ পাঠানো হয়।
গত ৭ এপ্রিল রফিকুল ইসলামকে তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই দিন রাতেই গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়। ৮ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন র্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার (ডিএডি) আব্দুল খালেক। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
আটকের সময় রফিকুল ইসলাম মাদানীর কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া তার ফোনে ‘আপত্তিকর কনটেন্ট’ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারাও সংযোজন করা হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/এমআর