তীব্র অক্সিজেন সংকটে ভারত, লকডাউন চান না মোদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
| আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২১, ১৬:০১ | প্রকাশিত : ২১ এপ্রিল ২০২১, ১৫:২৮

করোনাভাইরাস সংক্রমণে ভয়াবহ পরিস্থিতি ভারতে। দেশটির কয়েকটি রাজ্যে তীব্র অক্সিজেন সংকট শুরু হয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দিল্লি ও মুম্বাইয়ের। দিল্লিতে অনেক হাসপাতালেই অক্সিজেন শেষ হওয়ার মুখে। তবে দেশজুড়ে এমন অবস্থার মধ্যেও লকডাউনের পক্ষে নন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

হাইকোর্টের ধমক ও রাজনীতিকদের বারবার আবেদনের পর রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালে ভোররাতে অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। তবে তা দিয়ে এক-দুই দিনই চলবে। খবর এনডিটিভি ও পিটিআই এর

সেখানে করোনা পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ তা আন্দাজ করা যাবে রাজধানীর পটপরগঞ্জের ম্যাক্স হাসপাতালের পরিস্থিতি থেকে। সেখানে অক্সিজেন পৌঁছনোর কথা ছিল রাত দুই টায়। পৌঁছেছে সকাল আটটায়। যেকোনো সময় তাদের অক্সিজেন ফুরিয়ে যেতে পারত। ওই হাসপাতালে তিনশ রোগী ভর্তি আছেন। তার মধ্যে দুইশজনকে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে।

পরিস্থিতি আরো জটিল হয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকারের সিদ্ধান্তে। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, উত্তর প্রদেশেও অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে। তারপর যোগী আদিত্যনাথ সরকার নয়ডায় অক্সিজেন প্ল্যান্টে দুইজন সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে। তারা ২৪ ঘণ্টা নজর রাখবেন, সেখান থেকে অক্সিজেন যেন গৌতম বুদ্ধ নগর জেলার করোনা হাসপাতালে যায়। এখান থেকে দিল্লিতেও অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এই নির্দেশের পর তা ব্যাহত হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গতরাতে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, দিল্লিতে তীব্র অক্সিজেন সংকট চলছে। গঙ্গারাম হাসপাতালে কয়েক ঘণ্টার মতো অক্সিজেন আছে। সেখানে ৪৮৫টি কোভিড বেড আছে। করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪৭৫ জন। ১২০ জন আইসিইউতে। এরপর গভীর রাতে ও ভোরবেলায় গঙ্গারামে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়েছে।

দিল্লি সরকার হাইকোর্টেও জানিয়েছিল, রাজধানীর জন্য বরাদ্দ অক্সিজেন উত্তর প্রদেশকে দেয়া হচ্ছে। উত্তর প্রদেশ সরকারও দিল্লিতে অক্সিজেন পাঠাতে দিচ্ছে না। বিচারপতি বিপিন সাংভি ও বিচারপতি রেখা পাল্লি বলেন, 'যুক্তিহীনভাবে ওষুধ ও অন্য প্রয়োজনীয় জিনিস অন্য রাজ্যে পাঠিয়ে দেয়ার মানে তো আমাদের শাস্তি দেয়া।'

কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ২২ এপ্রিল থেকে শিল্পে অক্সিজেন ব্যবহার করা যাবে না। বিচারপতিদের প্রশ্ন, '২২ এপ্রিল থে্কে কেন বন্ধ করা হচ্ছে? কেন তার আগে বন্ধ করা হলো না? যদি অক্সিজেন সংকট মেটানো না যায়, তা হলে দেশ অনেক বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।'

এই পরিস্থিতিতেও লকডাউন চান না প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেছেন, লকডাউন হলো একেবারে শেষ অস্ত্র। তিনি চান, মানুষ আরো দায়িত্বশীল হোক। তারা ধৈর্য ধরুন, মাস্ক পরুন, দূরত্ব বজায় রাখুন। আর প্রতিটি পাড়ায় নতুন প্রজন্ম কমিটি করুক। করোনাবিধি মানুষ মানছে কি না তার উপর নজর রাখুক তারা।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'মানুষ এগিয়ে এলে লকডাউনের কোনো প্রশ্নই নেই। আমাদের লকডাউনের হাত থেকে বাঁচতে হবে।' তিনি টিকা নেয়ার উপর জোর দিয়েছেন।

কংগ্রেসহ প্রায় সব বিরোধী রাজনৈতিক দল মোদির এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছে। বিরোধীদের মতে, মোদি নিজের ও কেন্দ্রীয় সরকারের দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন। তিনি সব দায় দেশের মানুষের ঘাড়ে চাপিয়ে অব্যাহতি পেতে চাইছেন।

ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যার পর বালিচাপা দিলো ইসরায়েলি সেনারা 

গাজায় যুদ্ধাপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে আইসিসির প্রতি আহ্বান

কলকাতা বিমানবন্দরে চলল গুলি, নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়ে হুমকি পেলেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ

মস্কোতে কনসার্টে হামলা: এখনো প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ 

বাবা কোটিপতি, ২০ বছর ধরে জানতই না ছেলে!

গাজা যুদ্ধের ১৭৩তম দিন, প্রাণহানি বেড়ে সাড়ে ৩২ হাজার

মস্কোতে সন্ত্রাসী হামলা: ফের মৃত্যুদণ্ড চালুর আহ্বান রুশ আইনপ্রণেতাদের

দশ বছরে ৬৪ হাজার অভিবাসীর মৃত্যু, বেশিরভাগই সাগরে ডুবে: জাতিসংঘ

৩০ হাজার কোটি রুপি ব্যয়ে মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া দেবে ভারত

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :