৪০ এর পর ওজন কমানোর সহজ উপায়

প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০২১, ১৫:৩০

নাঈম লাবিব

চল্লিশের পরে ওজন কমানো বেশ চ্যালেঞ্জিং একটা ব্যাপার। যারা ৪০ বছর পেরিয়েছে তারা সকলেই সম্ভবত এই সমস্যার সাথে পরিচিত। আর তা হল অবাঞ্ছিত ওজন বৃদ্ধি। আপনার বয়স বাড়ার সাথে সাথে দেহের সবকিছু কিছুটা নরম হতে শুরু করে  এবং চামড়া ঝুলতে শুরু করে। আপনার দেহের এসব অবাঞ্ছিত ওজন কোথা থেকে এসেছে তাও আপনি জানবেন না। আপনি যদি চল্লিশোর্ধ্ব হন এবং ওজন কমাতে চান তবে আপনার জন্য আজকের টিপসগুলো বেশ কার্যকর হতে পারে।  এটা কষ্টসাধ্য হলেও অসম্ভব কিছু না। 

মেটাবলিজম (বিপাক)

জামাকাপড় হঠাৎ করে খুব ছোট হয়ে গেছে এবং শরীরের অযাচিত মেদ এবং চর্বির ভাঁজগুলো ফুটে উঠছে। চল্লিশোর্ধ বেশিরভাগ মানুষের সাথেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। ধীর গতির বিপাক এবং কম ব্যায়ামের কারণেই এই সমস্যা হয়ে থাকে। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাকে একধাপ এগিয়ে রাখে তাদের হরমোন। তাদের এই সমস্যা মূলত রজোবন্ধের ঠিক আগের বছরগুলো থেকেই শুরু হয়। এসময় পেশির অনুপাত অপ্রত্যাশিত ভাবে পরিবর্তিত হয়। অন্যদিকে আপনার দেহে পেশি যত কম হবে তত কম মেদ পুড়বে।

ডন্ট গিভ আপ (হাল ছেড়ে দিবেন না)

এটি সত্য যে আমাদের বয়স বাড়ার পরে ওজন কমানো খুব কঠিন হয়ে যায়। তবে এর অর্থ এই নয় যে আপনার তোয়ালেটি ছুড়ে ফেলে দেবেন।  কয়েকটি টিপস রয়েছে যা আপনাকে সেই অযাচিত ওজন থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করতে পারে। আমরা তাৎক্ষণিক সাফল্যের গ্যারান্টি দিতে না পারলেও, এটুক বলতে পারি যে এটা আপনাকে ব্যাপক সহায়তা করবে।

টিপসঃ

১) ক্রাশ ডায়েটিং বন্ধ করা- দেখা যায় যে, এই ক্রাশ ডায়েটিং এর ফলে ওজন শেষ পর্যন্ত জন্য আরও বেশি বেড়ে যায়। এভাবে বেড়ে যাওয়া মেদ  স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ক্ষতিকর। স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ ওজন হ্রাস কেবলমাত্র তখনই সম্ভব যখন আপনি দীর্ঘমেয়াদী ডায়েটিং এর সামর্থ্য রাখবেন।

২) ছোট পদক্ষেপে শুরু করা- যখন হঠাৎ করে আপনি খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ সীমিত করবেন  তখন আপনার শরীর 'সারভাইভাল মোডে' চলে যাবে। এর অর্থ হলো, যে সমস্ত খাবার আপনি গ্রহণ করবেন তা শক্তি হিসেবে সংরক্ষিত হওয়ার পরিবর্তে চর্বি হিসেবে সংরক্ষিত হবে। যদি আপনি দৈনিক গ্রহণকৃত খাদ্যের থেকে ৭০০ ক্যালরি হ্রাস করতে চান (যা প্রায় আধা কেজি ওজনের সমান) তবে আপনাকে প্রতি সপ্তাহে ২০০ ক্যালরি করে কম করতে হবে খাদ্য তালিকা থেকে। এভাবে ধীরে ধীরে আপনি চাইলে আরো বেশি ক্যালরি বাদ দিতে পারেন। তবে অবশ্যই পদক্ষেপ গুলো ধাপে ধাপে নিতে হবে।

৩) পেশী বিকাশ করা- পেশী যত বেশি হবে, তত বেশি চর্বি পুড়বে। এমনকি সেটা ঘটবে বিশ্রামের সময়ও। এর জন্য প্রয়োজন শক্তি প্রশিক্ষণ। আরে শক্তি প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজন জিমে যাওয়া। জিমে গিয়ে শক্তি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কার্ডিও নিয়মিত করতে হবে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে শক্তি প্রশিক্ষণ দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর।

৪) গ্রিন টি পান করা- গ্রিন টি আপনার বিপাকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে এবং এটি প্রাকৃতিক ফ্যাট বার্নারের কাজ করে। এছাড়াও এটি আপনার দেহের আর্দ্রতার ভারসাম্য খুব সুন্দরভাবে বজায় রাখতে সহায়তা করে।

ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/একে