২৬ এপ্রিল থেকে মার্কেট খোলার আশা মালিক সমিতির

প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০২১, ১৬:৩০ | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২১, ১৬:৪৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন দেয়া হলেও স্বাস্থবিধি মেনে দুইদিন আগেই দোকান, মার্কেট ও শপিংমল খুলতে চায় মালিক সমিতি। লকডাউনে ব্যবসায়ীদের অপূরণীয় অর্থনৈতিক ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকার ২৬ এপ্রিল থেকে দোকান-মার্কেট খোলার অনুমতি দেবে বলে আশা করছে মালিক সমিতি।

বুধবার দুপুরে ঢাকাটাইমসের কাছে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন ঢাকা নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট আশরাফ উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, আগামী ২৫ অথবা ২৬ তারিখে আমাদের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার একটা আশা আছে। আমরা প্রতিনিয়ত উপরমহলে যোগাযোগ করছি। বিভিন্ন মন্ত্রীদের সঙ্গে আমাদের প্রতিনিয়ত যোগাযোগ চলছে। আমরা আমাদের দুঃখ কষ্টের কথাগুলো তাদের সাথে বলছি। তারা আমাদের কথা বিবেচনা করে আগামী ২৫ অথবা ২৬ তারিখের দিকে আমাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান চালু করে দেয়ার একটা মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন। তবে তাদের কাছ থেকে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত আশ্বাস পায় নাই। গতবছর আমরা পহেলা বৈশাখ ও রোজায় ব্যবসা করতে পারিনি। আমাদের লাখ লাখ ব্যবসায়ী লোকসানের মুখে পড়েছেন। এবার রোজার ব্যবসা করতে না পারলে লক্ষাধিক ব্যবসায়ী পথে বসবেন। তাই আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি সুবিবেচনা করবেন।

আশরাফ উদ্দিন বলেন, আমাদের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলালউদ্দিন ভাইয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সব কথা শুনেছেন এবং তিনিও আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন। 

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ২২ এপ্রিল থেকে দোকান ও শপিংমল খুলে দেয়ার দাবি জানায়।

ওই সংবাদ সম্মেলনে হেলালউদ্দিন বলেন, গত একবছর প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ২০২০ সালের ১৮ মার্চ যখন বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে তখন আমরা দোকান মালিকরা স্বেচ্ছায় ২৫ মার্চ থেকে সবকিছু বন্ধ করে দেই। সরকার পরদিন ২৬ মার্চ থেকে সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করে। তখন থেকে এদেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জীবনে চরম ব্যবসায়িক মন্দা ও আর্থিক অনিশ্চয়তা নেমে আসে।

চাঁদনীচক মার্কেটের সভাপতি নিজামউদ্দিন বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার যে নির্দেশনা রয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে প্রতিপালন করার শর্তে আমাদের সীমিত সময়ের জন্য হলেও মার্কেট খুলে দেয়া হোক। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমরা বাঁচতে চাই। মার্কেট ও দোকানপাট খুলে না দিলে দুর্ভিক্ষে মালিক ও কর্মচারীরা মারা যাবে। বছরের আটটি মাস রমজানে বেচাকেনার জন্য আমরা অপেক্ষায় থাকি। গত বছর আমরা ব্যবসা করতে পারি নাই এবারো যদি তাই হয় তাহলে আমাদের মরা ছারা কোন গতি থাকবে না।

 

 

(ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/আরকে/ইএস)