ধামইরহাটে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০২১, ২০:৫৬

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠকের (পারিবারিক দ্বন্দ্ব) নাম করে শ্যালক ও দুলাভাই ডেকে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মমভাবে নির্যাতন করায় ধামইরহাট উমার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুজ্জামানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় শ্যালক বাদী হয়ে ওই ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ মোট ছয়জনের নামে নওগাঁ জেলা প্রশাসক, ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ধামইরহাট থানার ওসি বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার উমার ইউনিয়নের দুর্গাপুর এলাকার পিতা মৃত নৈমদ্দিনের ছেলে মো. উম্মে সালাম ও আবু হোসেনের মাঝে কয়েকদিন পূর্বে পারিবারিক বিষয়ে বিবাদ সৃষ্টি হয়। তারই প্রেক্ষিতে উম্মে সালাম তার ভাই আবু হোসেনের নামে ওই ইউপি চেয়ারম্যান নূরুজ্জামানের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে গত মঙ্গলবার তারিখ ধার্য করা হয়। ওই দিন অভিযোগের সত্যতা যাচাই-বাছাই এর নিমিত্তে কোন প্রকার সাক্ষ্য গ্রহণ না করে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম ও আব্দুল হাই পরিষদের ঘরের দরজা লাগিয়ে লাঠি দিয়ে নির্যাতন করেন আবু হোসেনকে।

নির্যাতনের দৃশ্য আবু হোসেনের ছেলে মোবাইলে ধারণ করায় ওই ফোন তার শ্যালক শামীম রেজার হাতে গেলে তার উপরেও চড়াও হয়। এসময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান ৪ ও ৭ নম্বর ইউপি সদস্যরা মিলে লাঠি দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হন। আহত শামীম রেজা পৌর এলাকার উত্তর চকযদু গ্রামের বয়েন উদ্দীনের ছেলে।

পরে ওই চেয়ারম্যান ও সদস্যরা আহত শামীম রেজার কাছ থেকে অলিখিত সাদা কাগজে নাম দস্তখত নিতে ব্যর্থ হলে পরিষদের গোপন কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। বিষয়টি তার পরিবারের লোকজন জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান বলেন, আমি উভয় পক্ষের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে আনতে গ্রাম পুলিশ দিয়ে আবু হোসেনকে দু’একটা চর থাপ্পর মারার অনুমতি দিয়েছি। তবে ভিডিও ধারণ করে পালানোর সময় গ্রাম পুলিশরা রাগের বসতে শামীম রেজাকে মারধর করেন। আমি মারধর করেছি তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আব্দুস সালামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি এবিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে কথা বলেন তিনি বলতে পারবেন অথবা কিছু জানার থাকলে ইউনিয়ন পরিষদে এসে কথা বলতে পারেন।

ধামইরহাট থানার ওসি আবদুল মমিন জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/এলএ)