যশোরে ভাবি নিয়ে দেবর উধাও

প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০২১, ২১:০৮

যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের বাসিন্দা হেদায়েত উল্লাহর ছেলে হাফিজুর রহমানের সঙ্গে তার ভাবী সুইটি হোসেন মায়ার পরকীয়া সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। এর জেরেই সংসার ভাঙতে বসেছে হাফিজের স্ত্রী লাইলী খাতুনের। স্বামী-সংসার ফিরে পেতে মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরালয়ের দ্বারে ঘুরছেন লাইলী।

ঘটনার বর্ণনায় লাইলী জানান, দীর্ঘ ১০ বছর আগে পারিবারিক সম্মতিতেই সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার রামের ডাঙ্গা গ্রামের মৃত আবুবক্কর সিদ্দিকের কন্যা লাইলী খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় হাফিজুরের। দাম্পত্য জীবনে তাদের আনিসা জান্নাত(৮) নামে এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। সাংসারিক জীবনের প্রথম থেকেই তার স্বামীর সঙ্গে বড় ভাই হাসানুরের স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের কথা জানতে পারেন।

প্রতিবাদ জানিয়ে স্বামী সংসারে অনেক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন লাইলী। একপর্যায়ে গ্রাম্য সালিস বৈঠকে হাফিজুর তার বাবা হেদায়েত উল্লাহর সম্মতিতে স্ত্রী লাইলী খাতুনকে নিয়ে নিজ ভিটায় বসবাস করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ হয়ে ভাবি সুইটি হোসেন মায়াকে নিয়ে পালিয়ে যান হাফিজ।

এ ঘটনার পর হাফিজুরের বাবা হেদায়েত উল্লাহ ও মা রাবেয়াও গা ঢাকা দিয়েছেন। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে সরেজমিনে গেলে লাইলী খাতুনের বড় জাসহ একাধিক প্রতিবেশী লাইলীর উপর নির্যাতনসহ দেবর-ভাবীর পরকীয়ার সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিষয়টি নিয়ে হাফিজুর ও তার ভাই হাসান এবং তার স্ত্রী সুইটি হোসেন মায়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তারা পলাতক থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। বর্তমানে লাইলী ও তার মেয়ে শ্বশুর বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ ঘটনা আমার জানা নেই। আপনার কাছে প্রথম শুনলাম৷

(ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/কেএম)