টঙ্গীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

নগর প্রতিবেদক, গাজীপুর
 | প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল ২০২১, ১৭:২১

গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি ক্লাবঘরের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমতলী কেরানিরটেক বস্তি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন যাবত হিমারদিঘী কেরানিরটেক বস্তিতে অবস্থিত শহীদ সুমন আহমেদ মজুমদার স্মৃতি সংসদ ক্লাব পরিচালনা করে আসছেন ৪৬নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আক্তার হোসেন, নুর মোহাম্মদ ও আলালসহ এলাকার যুবকরা। কিছুদিন যাবত ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেন পার্শ্ববর্তী ৪৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনির আহমেদ মজুমদার ও তার দুই ছেলে সাদ্দাম এবং বিপ্লব। এ নিয়ে গত ২০ (এপ্রিল) রাতে সাদ্দাম ও বিপ্লবের সঙ্গে আক্তার হোসেন ও নুর মোহাম্মদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এতে যুবলীগ নেতা আক্তার হোসেন ও নুর মোহাম্মদ আহত হয়। পরে ক্লাবে তালা লাগিয়ে চলে যায় সাদ্দাম গ্রুপের লোকজন। ওইদিন রাতেই আহত দুইজন টঙ্গী পূর্ব থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ করেন।

পরদিন বুধবার (২১ এপ্রিল) সকালে আক্তার, নুর মোহাম্মদ ও আলালের নেতৃত্বে ক্লাবের তালা ভেঙে ফের ক্লাব ঘরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়। এ নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় ইফতারের পর দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ নিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্য সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে আহত হন, সাদ্দাম (২৫), বিপ্লব (৩২) আবু সাঈদ (২৪), রাসেল (২০), আকাশ (২০), সিয়াম (২১), আক্তার হোসেন (৪০), নুর মোহাম্মদ (৪২) সহ অন্তত ১৫ জন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। গুরুতর আহত সাদ্দাম, বিপ্লব ও আবু সাঈদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন চিকিৎসক।

যুবলীগ নেতা আক্তার হোসেন বলেন, মরহুম সুমন আহমেদ মজুমদার আমাদের বন্ধু ছিলেন। তার স্মৃতিকে স্বরণ রাখতে আমরা ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা করি। দীর্ঘদিন ক্লাবটি বন্ধ থাকার পর আমরা ক্লাবের সংস্কার কাজ শুরু করি। কিন্তু বিগত কয়েক মাস যাবত জোরপূর্বক ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা করেন সুমন মজুমদারের বাবা মনির মজুমদার, দুই ভাই সাদ্দাম ও বিপ্লব। তাদের উদ্দেশ্য, ক্লাব দখল করে এখানে বসে কেরানিরটেক বস্তির মাদকের নিয়ন্ত্রণ করা।

এ বিষয়ে মনির আহমেদ মজুমদার বলেন, আমার ছেলের নামে ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমরা সেটি তত্ত্বাবধান করতে চেয়েছি। কিন্তু আক্তার ও নুর মোহাম্মদ তা চায় না। বিষয়টি জানাতে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতির দেখা করতে যাওয়ার পথে কেরানিরটেক পূজা মন্ডপের সামনে আক্তার ও নুর মোহাম্মদের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন আমাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় আমার দুই ছেলে গুরুতর আহত হয়েছে। যারা হামলা চালিয়েছে তারা অধিকাংশই কেরানিরটেক বস্তির মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করেন মনির মজুমদার।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-দক্ষিণ) ইলতুৎ মিশ ঢাকাটাইমসকে বলেন, একটি ক্লাব ঘরের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে অধিপত্য বিস্তারে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ক্লাবের নিয়ন্ত্রণের আড়ালে মাদকের কোন বিষয় রয়েছে কিনা সেটিও আমরা তদন্ত করে দেখছি।

(ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :