কুয়েতে নারী হত্যাকে কেন্দ্র করে জনমনে তীব্র ক্ষোভ
চলতি সপ্তাহে কুয়েতে একজন নারী হত্যাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ফারাহ হামজা আকবর নামে এক নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। হত্যার আগে ওই নারী এক বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে দুটি হয়রানির মামলা করেছিলেন। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই নারীকে প্রায়ই হয়রানি করতেন ওই যুবক।
পুলিশ হয়রানির মামলায় ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু জামিনে মুক্তি পেয়ে সে ছুরিকাঘাত করে ওই নারীকে হত্যা করে। হত্যার পর তার লাশ কুয়েতের দক্ষিণের একটি শহরের হাসপাতালের বাইরে ফেলে রাখা হয়।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পর তারা অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছেন। ওই যুবক হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে বলেও ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের শিকার নারীর বোনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে কান্না এবং চিৎকার করে ভুক্তভোগীর বোন জানান, তারা কর্তৃপক্ষকে হত্যার হুমকির বিষয়টি অবহিত করেছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের আহব্বানে সাড়া দেয়নি।
ভুক্তভোগীর বোন বলেন, আমরা যা বলেছিলাম সেটাই হলো। আমরা বলেছিলাম সে আমার বোনকে হত্যা করবে এবং সেটা করল। আমরা বিচারকসহ অনেককে বলেছি সে তাকে হত্যা করবে এবং এখন আমার বোন মৃত।
এই ঘটনার পর ভুক্তভোগীর নাম সামাজিক মাধ্যম টুইটারে ট্রেন্ডে পরিণত হয়। শত শত মানুষ হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কুয়েতের ফ্যাশন ব্লগার আসিয়া আল ফারাজ ভুক্তভোগীর বোনের ভিডিও শেয়ার করে লেখেন, ‘কুয়েত নারীদের জন্য নিরাপদ নয়।
বেশ কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী এই ঘটনার জন্য কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেন। তারা বলেন, হত্যার হুমকি দেয়ার পর অভিযুক্তকে ছেড়ে দেয়া উচিত হয়নি।
(ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/কেআই)