গোডাউনটির ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন ছিল না

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল ২০২১, ১০:২১

অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পুরান ঢাকার আরমানিটোলার কেমিক্যাল গোডাউনটির ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন ছিল না। এ গোডাউনের লাইসেন্স দেয়নি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। তবে সিটি করপোরেশন তাদের ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে কি না তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ শেষে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, হাজী মুসা ম্যানসনে প্রচুর পরিমাণে কেমিক্যাল রয়েছে। এগুলো অবৈধ কেমিক্যালের দোকান। আমার জানা মতে ফায়ার সার্ভিস এদের কোনো ধরনের লাইসেন্স দেয়নি। তবে আমি জানি না সিটি করপোরেশন তাদের ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে কি না। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এ কেমিক্যাল গোডাউন গড়ে উঠেছে। নিচ তলায় কেমিক্যাল গোডাউন আর উপরে মানুষের বসবাস, এর মানে অগ্নিকুণ্ডে বসবাস করা ছাড়া আর কিছুই না। এজন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

কেমিক্যালগুলো কী ধরনের? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে এগুলো হ্যাজার্ডিয়াস কেমিক্যাল। বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল রয়েছে এখানে। এগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে কঠিন হ্যাজার্ডিয়াস কেমিক্যাল।‌ আমরা যখন ঘটনাস্থলে প্রথম আগুন নেভাতে আসি কেমিক্যালগুলোর জন্য অনেক সমস্যা হয়েছে। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে কেমিক্যাল খোলা রাখা হয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি। যারা কেমিক্যালগুলো এখানে রেখেছেন, এই মৃত্যুর জন্য তারা দায়ী।

আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে জানতে চাইলে দেবাশীষ বর্ধন বলেন, এটা তদন্তের পর জানা যাবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির তদন্ত করে বলতে পারবে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে।

আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিস কিছু জানতে পেরেছে কি না এমন আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে কেমিক্যাল রিঅ্যাকশনের কারণে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।‌ তাৎক্ষণিক আমরা কিছুই বলতে পারছি না। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে। ‌অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়ে যাবে।

ভেতরে কেউ আর আটকে আছে কি না জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, আগুন এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে‌‌। আমরা ফাইনাল সার্চ করে ফেলেছি। আমাদের উদ্ধার কর্মীরা ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে সার্চ করেছে, ভেতরে আর কোনো লোকজন নেই। এখন পর্যন্ত ১৫ জন ভিকটিমকে আমরা বের করেছি।‌ তাদের তাৎক্ষণিকভাবে বের করতে পারায় মোটামুটি সবাই বেঁচে গিয়েছেন। কিন্তু আমরা এইমাত্র একটা ম্যাসেজ পেয়েছি যে একজন নারীকে (নিলুফা) অজ্ঞান অবস্থায় আমরা উদ্ধার করেছিলাম। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ পর্যন্ত দুজন ভিকটিম অর্থাৎ একজন পুরুষ ও একজন নারী এ ঘটনায় মারা গেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ১৮ মিনিটে আরমানিটোলার হাজী মুসা ম্যানসনে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।

(ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/কেআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :