ইন্দোনেশিয়ার সাবমেরিন উদ্ধার অভিযান ক্রিটিক্যাল পর্যায়ে

প্রকাশ | ২৩ এপ্রিল ২০২১, ২০:২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিখোঁজ সাবমেরিনটি খুঁজে পেতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময় হাতে আছে।  সাবমেরিনে থাকা নাবিকদের প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত টিকে থাকার মতো পর্যাপ্ত অক্সিজেন ছিল।

পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, ইন্দোনেশিয়ার আমন্ত্রণে সাবমেরিনটি খুঁজতে যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় সহায়তা পাঠাচ্ছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র মর্মাহত। ইন্দোনেশিয়ার নাবিক ও তাদের পরিবারের কথা আমরা চিন্তা করছি।’

এর আগে গত বুধবার কেআরআই নানগালা-৪০২ নামে বালি দ্বীপের উত্তরে মহড়ার সময় ৫৩ জন নাবিকসহ সাবমেরিনটি নিখোঁজ হয়। সাবমেরিনের খোঁজে ইন্দোনেশিয়া যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনুসন্ধানে সাবমেরিনটি পানিতে ডুব দেওয়ার জায়গার কাছে তেল ছড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। পেন্টাগনের

ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আচমাদ রিয়াদ বলেন, ‘আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত আমাদের হাতে সময় আছে। সাবমেরিনটি খুঁজে পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আশা দেখতে পাচ্ছি।’

বৃহস্পতিবার রাতে ইন্দোনেশীয় সেনাবাহিনী জানায়, তারা ৫০ থেকে ১০০ মিটার গভীরে ভাসমান একটি বস্তু থাকার লক্ষণ দেখতে পেয়েছেন। পানির নিচে বস্তু শনাক্ত করতে সক্ষম এমন দুটি নৌজাহাজও পাঠানো হয়েছে। অন্তত ছয়টি যুদ্ধজাহাজ, একটি হেলিকপ্টার এবং ৪০০ মানুষ সাবমেরিনটি অনুসন্ধান করে যাচ্ছে। ওই জলসীমায় অনুসন্ধানে নেমেছে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার নৌজাহাজ। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও জার্মানিও সাবমেরিনটি অনুসন্ধান করতে সহায়তা পাঠাতে আগ্রহ দেখিয়েছে।

 ইন্দোনেশিয়ার পাঁচটি সাবমেরিন রয়েছে, সেগুলোর একটি হচ্ছে কেআরআই নানগালা-৪০২। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্যমতে, সত্তর দশকের দিকে এই সাবমেরিন তৈরি হয়। ২০১২ সালের আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই বছর ধরে এটি মেরামত করা হয়।

 ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, এই প্রথম ইন্দোনেশিয়ার কোনো সাবমেরিন নিখোঁজের ঘটনা ঘটল। তবে সাবমেরিন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০১৭ সালে আর্জেন্টিনার সেনাবাহিনীর একটি সাবমেরিন ৪৪ জন নাবিকসহ নিখোঁজ হয়। এক বছর পর এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। কর্মকর্তারা ওই সাবমেরিনে বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/কেআই)