শিশুকন্যার চিকিৎসায় দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন বাবা

প্রকাশ | ২৪ এপ্রিল ২০২১, ১৪:৫১ | আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২১, ১৫:১৬

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

পাবনার চাটমোহরের পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের বড়গুয়াখড়া গ্রামের আঠার মাসের শিশু মাইশা ভুগছে কিডনির জটিল রোগে। অসহনীয় যন্ত্রণায় বিছানায় ছটফট করে শিশুটি। মা আসমা খাতুনও নির্ঘুম সময় কাটান একমাত্র মেয়ের যন্ত্রণা দেখে কাঁদতে কাঁদতে। শিশুটির বাবা মনিরুল ইসলাম একজন নির্মাণ শ্রমিক। মেয়ের চিকিৎসা খরচ জোগাড়ে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন তারা।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাইশার কিডনিতে চর্বি ও কিছুটা রক্ত জমেছে। উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে তা সারিয়ে ফেলা সম্ভব। এ চিকিৎসায় ব্যয় করতে হবে অনেক টাকা। নতুবা শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। চিকিৎসকদের মুখে এমন কথা শুনে কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না দিনমজুর মনিরুল ইসলাম। করোনার এ সময়ে যেখানে কর্মহীন হয়ে ঠিক মতো দু-বেলা খাবার খরচ জোগানো দায়, সেখানে মেয়ের চিকিৎসায় এতো অর্থ কোথায় পাবেন ভেবে পাচ্ছেন না। তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মেয়ের চিকিৎসা খরচ জোগাড়ে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। কিন্তু আশানুরূপ সহযোগিতা মিলছে না।

 

সরেজমিন জানা গেছে, জন্মের ছয় মাস বয়স পার হতেই হঠাৎ করে অসুস্থ হয় মাইশা। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যান বাবা মনিরুল। চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর কয়েকমাস ভালোই ছিল মাইশা। কিন্তু এর কিছুদিন পর থেকে মাইশার পুরো শরীর ফুলতে থাকে। সারাদিন কান্নাকাটি করতে থাকে সে। পরে মেয়ের এমন কষ্ট দেখে পাবনায় শিশু বিশেষজ্ঞ দিলরুবার কাছে নিয়ে যান বাবা-মা। সেখানে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার পর চিকিৎসক জানান মাইশার কিডনীতে চর্বি জমেছে। উন্নত চিকিৎসার পাশাপাশি অনেক টাকার প্রয়োজন। চিকিৎসকের এমন কথা শুনে দিশেহারা বাবা-মা মাইশাকে  রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকও উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু ঢাকায় নিয়ে মেয়েকে চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য নেই নির্মাণ শ্রমিক মনিরুলের। এখন বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহর গুনছে ছোট্ট মাইশা। যতোই দিন গড়াচ্ছে অসহনীয় যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছে ছোট্ট এই শিশুটি।

কান্নাজড়িত কন্ঠে মাইশার মা আসমা খাতুন বলেন, গরীব মানুষের ঘরে আল্লাহ এমন রোগ দেন কেন? আল্লাহ তো সব দেখেন, সব জানেন। আমরা নিরুপায়, মেয়ের কষ্ট আমরা সহ্য করতে পারছি না। টাকার অভাবে কী আমার মেয়ে মারা যাবে?’

প্রধানমন্ত্রী ও সমাজের বিত্তশালীদের সহায়তা কামনা করছেন তিনি।

সহযোগিতার জন্য মাইশার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে এই নম্বরে- ০১৭৯১-০২৬৬১৫।

(ঢাকাটাইমস/২৪এপ্রিল/পিএল)