ইফতার হাতে মহাসড়কে মেয়রের অপেক্ষা

ফেনী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল ২০২১, ২০:১৭

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপালে ইফতার নিয়ে পথচারি, দুস্থ-অসহায় ও গাড়ি চালকদের অপেক্ষায় থাকেন ফেনী পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী। প্রতিদিন বাদ আসর থেকে ইফতারের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে তিনি মহাসড়কে পথচারি, চালক-হেলপার ও যাত্রীদের মাঝে ইফতার বিতরণ করেন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার পরিবহন চলাচল করে। আসরের নামাজের পর থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা কোথায়-কিভাবে ইফতার করবেন তা নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তায় থাকতে হয়। অনেক সময় ইফতারের সময় সড়কের পাশে কোনো দোকানে গাড়ি থামালেও ইফতার পাওয়া যায় না। কখনো পেলেও অতিরিক্ত দামে কেনা অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা পরিবেশে ধুলোবালিতে ভরা তৈরি এসব ইফতার খেয়ে নানা রকম পেটের সমস্যায় ভোগেন। বিগত দুই বছর রমজানে করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন থাকায় সড়কের পাশে দোকানের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তাই অনেক সময় শ্রমিক ও যাত্রীরা ইফতার করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।

মাইন উদ্দিন সুমন ভূঞা নামে এক স্বেচ্ছাসেবক জানান, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বিগত কয়েক বছর যাবত মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখি লেইনে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসম্মত ইফতার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন। শুরুর বছরে মহাসড়কে ইফতার বিতরণ শেষে চাড়িপুরস্থ তার কার্যালয়ের সামনে প্রতিদিনই বড় আকারের ইফতারের আয়োজন থাকতো। ওই ইফতারে মসজিদের ইমাম, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া অনেক ব্যক্তি অংশ নিতেন। কিন্তু বিগত বছর ও চলতি বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে লোক সমাগমে অনুৎসাহী করা হচ্ছে। এতে করে এখন তার কার্যালয়ের সামনে আর ঘনঘটা করে ইফতারের আয়োজন করা হচ্ছে না। তাই মহাসড়কে ইফতার বিতরণ শেষে স্বল্প পরিসরে কিছু ইফতারের প্যাকেট স্থানীয় দিনমজুরদের মাঝে বিতরণ করছেন তিনি।

রিয়াদুল ইসলাম অনু নামে আরেক স্বেচ্ছাসেবক জানান, প্রতিদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির মাঝে স্বপন মিয়াজী বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ করে যাচ্ছেন। ইফতারের প্যাকেটে বুট, পেয়াজু, বেগুনি, খেজুর, মুড়ি ও এক বোতল পানি দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও কখনো কখনো বিরিয়ানি, খেজুর, সালাদ ও পানির বোতল বিতরণ করা হয়।

জানতে চাইলে স্বপন মিয়াজী এই প্রতিবেদককে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মহাসড়কের পাশে অনেক দোকান বন্ধ রয়েছে। এসময় পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা ইফতার নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভোগেন। দোকান স্বল্পতায় অথবা ইফতার না থাকায় অনেক রোজাদারের ভাগ্যে ইফতার জুটে না। তাই সাধ্যমত রোজাদারদের হাতে ইফতার তুলে দেয়ার চেষ্টা করছি।

(ঢাকাটাইমস/২৪এপ্রিল/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :