খরতাপে ঝরে পড়ছে আম

অরিন্দম মাহমুদ, ধামইরহাট (নওগাঁ)
| আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২১, ১১:২৩ | প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল ২০২১, ১১:০০

মাত্র কদিন আগে গাছ ভরা গুটি গুটি আম দেখে খুশি হয়েছিলেন নওগাঁর ধামইরহাটের আমচাষিরা। কিন্তু অনাবৃষ্টির কারণে ঝরে পড়ছে এসব আম। গাছের গোঁড়ায় পানি ঢেলেও রুক্ষ আবহাওয়ার কারণে তা কোনো কাজে আসছে না।

উপজেলার রাস্তার আশেপাশে, পুকুরপাড়, বাড়ির আঙিনাসহ বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে ছোট-বড় নানান জাতের সুস্বাদু আমের গাছ ও বাগান রয়েছে। এসব আমের মধ্যে ক্ষীরশাপাতি, আম্রপালি, গোপালভোগ, বাড়িফোর, ন্যাংরা, হাড়িভাঙ্গা ও নাগফজলি আম উল্লেখযোগ্য। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় বৈশাখের খরতাপে ঝরে পড়ছে গাছের আম।

এ বছর শুরুর দিকে এ অঞ্চলে আম গাছের ডালে মুকুলে ছেয়ে যায়। এমনও দেখা গেছে মুকুলের ভারে অসংখ্য আমের ডাল নুয়ে পড়েছে মাটিতে। এরপর এসব গাছে গুটি গুটি আমে ভরে যাওয়ায় খুশিই হয়েছিলেন এ এলাকার আমচাষিরা। সম্প্রতি আম ঝরে পড়ায় আমবাগানিদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।

আমচাষি শিবলী সরকার বলেন, ‘আমাদের ১৫ বিঘা জমিতে রয়েছে আমের বাগান। দীর্ঘদিন ধরে আকাশে বৃষ্টি না হওয়ায় ঝরে পড়ছে এসব বাগানের আম। আমগুলো রক্ষার জন্য এই মুহূর্তে আকাশের পানি ভীষণ প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কার‌্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় ১১০টি আমের বাগান রয়েছে। শুরুতে ভালো আবহাওয়া থাকায় আমের মুকুলে পোকা বা পচন ধরেনি। তাতে গাছ ভর্তি গুটি গুটি আম ধরেছিল। সম্প্রতি রুক্ষ আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপদাহ বেড়ে যাওয়ায় ঝরে পড়ছে আম। বৈরি আবহাওয়ার কারলে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমের সঠিক পরিচর্চার জন্য উপজেলা কৃষি কার‌্যালয় প্রতিদিন আমচাষিদের বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কার‌্যালয় থেকে গাছে ফল ধরার ১৫ দিন পর পর পানির সেচ দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও আম মটরদানা ও মার্বেল পর্যায়ে হলে প্রতি লিটার পানিতে ২০ গ্রাম ইউরিয়া, দুই গ্রাম বরিক এসিড স্প্রে করতে হবে। এতে আমচাষিরা ভালো ফলন পাবেন। আবহাওয়া ভালো থাকলে এ বছর এ উপজেলায় আম চাষে লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৭৫ হেক্টর।

(ঢাকাটাইমস/২৫এপ্রিল/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :