যশোরে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এসআই গ্রেপ্তার
তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আজিজুল হক সবুজ নামে পুলিশের একজন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। শনিবার ভোরে শহরের বারান্দীপাড়া ঢাকা রোডের হাফিজিয়া মাদ্রাসার পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আজিজুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন।
আসামি আজিজুল হকের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার সুরুরিয়া গ্রামে। তার বর্তমান ঠিকানা যশোর সদর উপজেলার রঘুরামপুর গ্রাম। তিনি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে কর্মরত। ঢাকা এপিবিএন থেকে সদ্য পুলিশের খুলনা রেঞ্জে বদলি হয়েছেন তিনি।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর আজিজুল হক সবুজের সঙ্গে ভুক্তভোগীর বিয়ে হয়। আজিজুলের আগেও তিনটি বিয়ে ছিল। চাকরির সুবাদে আজিজ কর্মস্থলে থাকতেন। মাঝে মাঝে যশোরে তার সাবেক স্ত্রী বাদীর বাড়িতে আসতেন।
ভুক্তভোগী বলেন, ‘আজিজুল ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর সাতক্ষীরায় লাবনী নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ তারিখে আমাকে তালাক দেয়। গত রাতে একটার দিকে আজিজ আমার ঘরের দরজা নক করে। আমি দরজা খোলামাত্র সে ঘরের ভেতর ঢুকেই ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। ওই সময় সে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে আজিজ ওয়াশরুমে ঢুকলে আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিই। পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।’
অন্যদিকে স্থানীয়রা বলছেন, জেসমিনেরও আগে তিনবার বিয়ে হয়। একজন রড ব্যবসায়ীকে বিয়ের ফাঁদে ফেলে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর সঙ্গে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে এসআই সবুজ শারীরিক সম্পর্ক করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এটা আইনানুযায়ী ধর্ষণ বলে গণ্য হয়।’
ওসি আরও জানান, ভুক্তভোগী টাকায় ঘটনাটির মিমাংসা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনা টাকায় আপোস করা যায়না বলে তারা মামলা রুজু করেন।
ওসি জানান, আসামি আজিজকে রবিবার সকালে আদালতে হাজির করা হবে। ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার পর আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য পাঠানো হবে।
(ঢাকাটাইমস/২৫এপ্রিল/পিএল)