পঞ্চগড়ে পুকুরে ডুবে যুবকের মৃত্যু
পঞ্চগড়ে বউয়ের সঙ্গে পুকুরে মাছ দেখতে গিয়ে সেই পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে হাসান আলী (৩২) নামে এক যুবকের। রবিবার ভোরে পরিবারের লোকজন শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি অপসারণ করে পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহত যুবক পেশায় মাছ ব্যবসায়ী এবং উপজেলা সদরের গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের নজিব উদ্দিনের ছেলে।
পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী জানায়, হাসান আলী দীর্ঘদিন ধরে মৃগী রোগে আক্রান্ত। তিন সন্তানের জনক হাসান মানসিকভাবেও কিছুটা অসুস্থ। শনিবার রাতে হাসান আলী ও তার স্ত্রী শারমিনা বেগম বাড়ির পাশের একটি পুকুরে মাছ দেখতে যান। এক পর্যায়ে জোরপূর্বক স্ত্রী শারমিনাকে নিয়ে পুকুরের পানিতে নামেন হাসান আলী। তার সাতার জানা ছিল না।
এছাড়া মৃগী রোগী হিসেবেও পুকুর বা নদীর পানিতে নামা তার জন্য বিপদ ছিল। দুজনে পুকুরে নামার পর গভীর পানিতে নিখোঁজ হন হাসান আলী। পুকুর থেকে উঠে স্ত্রী শারমিনা পুকুরের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কথা প্রতিবেশীদের জানান।
পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাতেই উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেন। তারা মরদেহের খোঁজ না পেয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। পরে স্থানীয়রা চারটি শেলো মেশিন দিয়ে পানি অপসারণ করে ভোর ৬টার দিকে পুকুর থেকের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শুনেছি স্বামী-স্ত্রী দুজনেই পানিতে ঝাঁপ দিয়েছিল। কিন্তু হাসান আলী পানিতে নিখোঁজ হয়। তার মানসিক সমস্যা ছিল এবং তিনি মৃগী রোগে আক্রান্ত। আমরাও পুকুরের পানিতে নেমে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছি। তবে কেন সে বউকে নিয়ে পুকুরের পানিতে লাফ দিল তা বুঝতে পারছি না।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলতামাস হুসাইন লেলিন বলেন, খবর পেয়ে আমি রাতেই ঘটনাস্থলে গেছি। পুকুরটির গভীরতা বেশি হওয়ায় মরদেহ উদ্ধারে সময় লাগে। হাসান আলীর কিছুটা মানসিক সমস্যা ছিল। এ কারণে হয়তো স্ত্রীসহ সে পানিতে লাফ দিয়েছিল।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আককাছ আহমেদ বলেন, পরিবার বা অন্য কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। জনপ্রতিনিধিসহ সবাই বলছেন তিনি মানসিকভাবেও অসুস্থ। তিনি পুকুরে লাফ দিলে সাঁতার না জানার কারণে পানিতে তলিয়ে যেতে পারেন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৫এপ্রিল/কেএম)