মার্কেট খুললেও ক্রেতা সীমিত

প্রকাশ | ২৫ এপ্রিল ২০২১, ২০:৫০ | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২১, ২১:০২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

১২ দিন বন্ধ থাকার পর সরকারি অনুমতিক্রমে খুলেছে মার্কেট, দোকানপাট। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। আর শপিংমল খোলা রাখা যাবে রাত নয়টা পর্যন্ত। সরকারের নির্দেশনা পেয়ে রবিবার সকালেই রাজধানীর সকল দোকানপাট ও মার্কেট খুলেছে। তবে সব মার্কেটে আশানুরূপ ক্রেতা নেই।

 

রবিবার দিনব্যাপী রাজধানীর নিউ মার্কেট, টোকিও স্কয়ার, শ্যামলি স্কয়ার ও কৃষি মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ঈদের বেচাকেনা শুরু করতে মার্কেটগুলোতে ব্যবসায়ীদের ছিল বেশ তোড়জোড়। তবে ক্রেতা আনাগোনা ছিল সীমিত। মার্কেটে ক্রেতা কম থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

 

টোকিও স্কয়ার মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, মার্কেটে ক্রেতা আনাগোনা একেবারেই কম। মার্কেটটির বিক্রেতা তানিয়া আক্তার ঢাকা টাইমসকে বলেন, অন্য সময় এর চাইতে বেশি কাস্টমার থাকে। এখন তো ঈদের টাইম, এখন আরও বেশি কাস্টমার থাকার কথা ছিল। আজ তো মাত্র মার্কেট খুলল, দুই একদিন যাক, ইনশাআল্লাহ কাস্টমার বাড়বে।‘

 

শ্যামলি স্কয়ার মার্কেটে ক্রেতার চাপ নেই বললেই চলে। পুরো মার্কেট ঘুরে হাতে গোলা ৪০ থেকে ৫০ জন ক্রেতার দেখা পাওয়া গেছে।

গত বছরের লকডাউন, এক বছরের বেশি সময় ধরে করোনার ছোবলে দিশেহারা এ মার্কেটের ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান। এবারও লকডাউনে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি। ফলে বাধ্য হয়ে দোকান ছেড়ে দিয়েছেন এই ব্যবসায়ী। ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, ‘গতবার একটা অবস্থা গেল। সেইটাই কাটাইয়া উঠতে পারি নাই। এখন আবার লকডাউন। কাস্টমার নাই। দোকান ছেড়ে দিছি ভাই। এইভাবে লস গুইনা আর পারতেছি না।‘

 

এদিকে মার্কেট খুললেও লকডাউন তুলে নেয়ার আগ পর্যন্ত ব্যবসার সুযোগ নেই বলে মনে করছেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর নতুন কাঁচা বাজারের পোশাক বিক্রেতারা।

 

আমির হামজা বস্ত্র বিতানের বিক্রেতা পারভেজ হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এখনো অনেকে ঢাকার বাইরে। তারা আসুক। বাস চালু হোক। তারপর বিক্রি। তার আগে ব্যবসা হওয়ার সুযোগ দেখি না ভাই।‘

 

দোকান খুলে ক্রেতার দেখা না পাওয়ায় কপালে ভাজ মার্কেটের শ্রমিকদের। করোনা মহামারির কারণে এবারও বিক্রি কম হলে বেতন-বোনাস পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।

 

কৃষি মার্কেটের বিক্রয় কর্মী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতবার বেতন কম পাইছি, বোনাস পাই নাই। এইবারও যদি একই অবস্থা হয়, তাইলে আমাদের খারাপ হয়ে যাবে।‘

 

মূল মার্কেটের মতোই একই অবস্থা নগরীর ফুটপাতে। সব সময় জমজমাট থেকে ফুটপাতও যেন প্রাণ শূন্য। অনেক দিন পরে মার্কেট খুললেও যেন ক্রেতার দেখা নেই। রমজানে ইফতারের পর ক্রেতারা মার্কেট মুখি হন। ফলে বিকাল পাঁচটা পর দোকান বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এ সময় আরও বাড়ানোর দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে সে সময় বাড়ানো হয়েছে।

 

তাদের মতে, রমজানের এই সময় মার্কেটগুলোতে যে পরিমাণ ক্রেতার আনাগোনা থাকার কথা এখন তার ১০ শতাংশও নেই। সময়ের সঙ্গে ক্রেতা বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।

 

করোনা মহামারির মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট, দোকানপাট খোলার কথা ছিল। কিন্তু রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে সে স্বাস্থবিধি উপেক্ষার চিত্র দেখা গেছে। মার্কেটের অনেক বিক্রেতারা মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি। গরমসহ নানান অজুহাতে মাস্ক পরেননি ক্রেতারাও।

 

(ঢাকাটাইমস/২৫এপ্রিল/কারই/ইএস)