কণ্ঠলগ্নসমুদ্র স্নান

ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া
 | প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল ২০২১, ১৭:৪০

না,আমি যাবো না, যেতে চাইলে তোমরা যাও,

তিয়াসে তড়পানো ভূচরেরা গিয়ে জলের পাঁজরে জড়াও।

আমি জানি, যারা দিন রাত জলের আকালে ভোগে

তারাই খরগোসের মতো ব্যস্ত হয়ে ছোটে সাগর সম্ভোগে।

আমার বাঁ পাঁজর ঘেঁষে কণ্ঠলগ্ন হয়ে আছে উত্তাল সাগর;

যার বুক জুড়ে বয়ে যাওয়া কাল-বোশেখি ঝড়

প্রাণের কী আকুতি ঢেলে

আমাকে সেই ঝঞ্ঝার সাথি হতে বলে

নিস্তবতার কোলাহলে;

তার আকুতি উপেক্ষার সাধ্য নেই আমার।

বিশ্বাস করো, কোনো আদম সন্তানের

এমন বুকের পাটা নেই

কিংবা দমের শক্ত পাটাতন নেই

নিষ্কম্প দাঁড়িয়ে থাকবার;

অথবা দম টেনে টেনে নির্বিকার পাশ ফিরে শুয়ে থাকবার।

পাহাড়ের পাদদেশে সৈকত সহবাসে কী উত্তাল ঢেউ আছড়ে পড়ে অকারণ উল্লাসে,

একঝলক ঢেউয়ের শিস উষ্ণতার শিহরনে আমার পা ছুঁয়ে

যেতে যেতে বলে,

‘এখন যৌবন যার,

শরীর ঘেঁষে বয়ে যাওয়া সাগর সংগমের তার শ্রেষ্ঠ সময়,

এখন যৌবন যার,সেই সমুদ্রের অতলে রসাতলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।’

যৌবনমত্ত সাগরিকার শীৎকারের কাছে

দখিনা সাগরের নির্ঘোষ নিতান্ত নস্যি,

তবুও তোমরা যেতে চাও সেই অনুগত সমুদ্র জলের স্নানে

কণ্ঠলগ্ন সাগরের মতো নয় যে অতোটা দস্যি।

আমার সমুদ্র স্নানের সুখ খুনসুটির খড়কুটো দিয়ে বাসা বাঁধে মধুমা দস্যিপনায়,

এ ভাবেই সমুদ্র আর আমি ভরে উঠি কানায় কানায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :