ধানের ন্যায্যমূল্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় হাওরাঞ্চলের কৃষকরা

জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জ
 | প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল ২০২১, ১১:০৯

হাওরাঞ্চলে সারাবছরের একমাত্র সম্পদ এক ফসলি বোরো আবাদে বাম্পার ফলন হওয়ায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এ যেন ঈদের আনন্দের চেয়েও বেশি কৃষক-কৃষাণী ও তাদের ছেলেমেয়েদের কাছে। দিনরাত ধান মাড়াই আর শুকানোর কাজে ব্যস্ত তারা।

তবে ধানের ন্যায্যমূল্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকরা। তারা জানান, প্রতিবছরই চারা রোপণ থেকে কাটা, মাড়াই ও শুকানো পর্যন্ত যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়, ধান বিক্রি করে লাভ কিছুই থাকে না।

তাহিরপুর উপজেলার বৃহৎ শনি হাওর, মাটিয়াইন হাওরসহ বিভিন্ন হাওর ঘুরে বোরোধান কাটা মাড়াইয়ে ব্যস্থ কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাদের আক্ষেপ আর দুশ্চিন্তার তথ্য।

এদিকে, ফলন ভালো হওয়ায় জেলায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা সংশ্লিষ্ট বিভাগের।

সচেতনমহল বলেন, প্রতিবছরই সুবিধাবাদি মহল সিন্ডিকেট তৈরি করে কৃষকদের কাছ থেকে কম মূল্যে ধান কিনে বেশি মূল্যে বাজারে বিক্রি করে। এতে করে দিনমজুর, স্বল্প আয়ের মানুষ ও চাকরিজীবিরা পড়েন মহা বিপাকে। এই সিন্ডিকেটকে স্বমূলে উৎপাটন করে কৃষকদেরসহ সবাইকে রক্ষার কঠোর প্রদক্ষেপ নেওয়া এখনই প্রয়োজন।

উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের মানিকখিলা গ্রামের কৃষক আব্দুল আলিম বলেন, এবার বোরো ধানে ফলন খুবই ভাল হয়েছে। এখন ব্যস্ত সবাই কাটা মাড়াই আর শুকানোর কাজে। এত কষ্ট করেও সঠিক মূল্য আমরা কৃষকরা পাই না। সরকারিভাবে যদি কৃষকদের বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে ন্যাযমূল্য নির্ধারণ করা হলে কৃষকরা বাঁচবে। না হলে আগমীতে কৃষকরা ধান উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হবে।

লামাগাও গ্রামের কৃষক মোরশেদুল হক, হোসেন মিয়াসহ অনেকেই জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সপ্তাহের মধ্যেই হাওরের ফসল ঘরে উঠবে। কৃষিবান্ধব সরকার ধানের সন্তোষজনক মূল্য নির্ধারণ করে কৃষকদের কষ্টের ফলানো সোনালী ধান আগামীতে আরও বেশি করে ফলাতে উৎসাহিত করবেন এমন প্রত্যাশা তাদের।

জেলার তাহিরপুর উপজেলার শনি, মাটিয়ান হাওরসহ ছোট বড় ২৪টি হাওরেই শুরু হয়েছে ধান কাটা উৎসব। উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ১৭ হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতে বোরো-ইরি ধানের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৫ হাজার ৭৯০ মেট্রিক টন।

তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান উদ দৌলা জানিয়েছেন, উপজেলার সবকটি হাওরে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, কৃষকদের কষ্টের ফসলের ন্যাযমূল্য নির্ধারণ করা খুবই প্রয়োজন যাতে তারা লাভবান হয়। না হলে সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে তা কোন ভাবেই হতে দেয়া যাবে না।

সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফরিদুল হাসান জানান, চলতি বছর দুই লাখ ২৩ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এ পর্যন্ত হাওরের প্রায় ৫০ ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে সপ্তাহখানেকের মধ্যে নিরাপদে ধান গোলায় উঠবে।

(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :