বেনাপোলে করোনা ঝুঁকিতে বন্দর ও কাস্টমস
দুই দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর দিয়ে সচল রয়েছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। ভয়াবহ এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন বেনাপোল কাস্টমস কর্মকর্তারা। দেশের স্বার্থে সরকারি রাজস্ব আদায় ঠিক রাখতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভারতের কাস্টমস ও বন্দরের সঙ্গে কাজ করছেন তারা।
দুদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যকে গতিশীল, দ্রুত পণ্য খালাশ ও রাজস্ব আয় বাড়াতে ইতিমধ্যে কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান ও অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম কাস্টমস হাউসে আরও থেকে এসি ডিসি পর্যায়ে বড় ধরনের রদবদল করেছেন। কিছু চৌকস এসি, ডিসি লেভেলের কর্মকর্তাদের বন্দরে পণ্য পরীক্ষণ কাজে রদবদল করেছেন। বেনাপোল কাস্টমস হাউজে প্রবেশ পথে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষেধ, বাধ্যতামূলক সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, প্রয়োজন ছাড়া অফিসে না ঢোকা, শুল্কায়ন গ্রুপে ভিড় না করা, উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের রুমে একজনের বেশি প্রবেশ না করাসহ বেশ কিছু বিধি নিষেধও আরোপ করা হয়েছে।
ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান, কাস্টমস কর্মকর্তাদের নিরাপদ রাখতে আমরা কাস্টমস অফিস ও বন্দর এলাকায় জীবানুনাশক স্প্রে করেছি। ভারতীয় পেট্রাপোল বন্দর লাগোয়া কাস্টমস এন্ট্রি পয়েন্টে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারদের বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার, হ্যান্ড সিনিটাইজার ব্যবহার ও তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কাস্টমস কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।
করোনার মধ্যেও কাস্টমস হাউসের রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি ৩৫% এ গিয়ে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে জাতীয় স্বার্থে কাস্টমস কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঠ পর্যায়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যকে গতিশীল, দ্রুত পণ্য খালাশ ও রাজস্ব আয় বাড়াতে বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/কেএম)