‘প্রান্তিক পর্যায়ের ভোক্তা ও উদ্যোক্তাদের ই-কমার্সের আওতায় আনা জরুরি’

আসাদুজ্জামান
| আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২১, ১২:৪৪ | প্রকাশিত : ২৮ এপ্রিল ২০২১, ১২:৩৫

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশে চলছে ‘কঠোর লকডাউন’। এমন পরিস্থিতিতে বাইরে বেরোতে না পারলেও অনেকে ঘরে বসেই বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনছেন। এতে বড় ই-কমার্স কোম্পানিগুলো আর সুপার-স্টোরগুলোর অনলাইনে অর্ডার বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। অন্য সময়ের চেয়ে লকডাউনে অর্ডার বেশি পাওয়ায় কিছুটা চাপ বেড়েছে অনলাইন কেনাকাটায় জনপ্রিয় হয়ে উঠে আসা ডিজিটাল প্লাটমর্ফটিতে।

দেশে ই-কমার্সের বিস্তারে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ভূমিকা ও পদক্ষেপ নিয়ে কথা হয় সংগঠনটির সভাপতি শমী কায়সারের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ঢাকা টাইমসের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আসাদুজ্জামান।

ঢাকা টাইমস: গত বছর লকডাউনের সময় লকডাউনকৃত এলাকায় পণ্য সরবরাহ করেছে ই-ক্যাবভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো। এবার লকডাউনের মধ্যে ক্রেতাদের ঘরে ঘরে পণ্য পৌঁছে দেয়ার জন্য ই-ক্যাব কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে?

শমী কায়সার: গতবছর নগরীর দুটি এলাকায় প্রায় এক লাখ মানুষের ঘরে ঘরে ই-ক্যাব সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো নিত্যপণ্য পৌঁছে দিয়েছে। এই বছর লকডাউন হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে ই-ক্যাব সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে এবং তাদের সক্ষমতা বাড়িয়েছে। গতবার সাধারণ ছুটি হওয়ার পর কর্মী সংকট দেখা দেয়। লোকজন গ্রামে চলে যাওয়াতে প্রতিষ্ঠানগুলো অর্ডার অনুপাতে ডেলিভারি দিতে পারছিল না। এবার সে সমস্যাটি হয়নি।

ই-ক্যাব গতবারের মতো এবারও সীমিত চলাচলের প্রেক্ষিতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য তিন ধাপের নিরাপত্তা নির্দেশনা প্রদান করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও আইসিটি ডিভিশন থেকে অনলাইনে নিত্যপণ্য সেবা দেয়ার জন্য অনুমতি নিয়ে সদস্যদেরকে ‘জরুরি পণ্যসেবা’সংক্রান্ত স্টিকার প্রদান করেছে। এবং যেখানে মাঠ পর্যায়ে যেখানে সমস্যা হচ্ছে ই-ক্যাব থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

ঢাকা টাইমস: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঘরে বসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী কিনতে জনগণকে উৎসাহিত করতে ই-ক্যাব কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে?

শমী কায়সার: জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পেলে এবং সংক্রমণের ব্যাপারে আশঙ্কাহীন থাকলে মানুষেরা নিজেই অনলাইন কেনাকাটার প্রতি আকৃষ্ট হবে। ই-ক্যাব ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন, সেবার মান ও জনগণের আস্থা বাড়ার জন্য কাজ করছে। ই-ক্যাব এই কাজটি সবসময় করে থাকে। ইন্ডাস্ট্রি উন্নত হলে সকল সদস্যই উপকৃত হবে।

ঢাকা টাইমস: ই-ক্যাবের বর্তমান সদস্য সংখ্যা কত? ই-ক্যাবের সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়া কী সদস্য প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ই-ক্যাব কী কী ভূমিকা রাখে?

শমী কায়সার: ই-ক্যাবের সদস্য সংখ্যা পনেরো শতাধিক। ই-ক্যাব সরকারের সঙ্গে আইসিটি পলিসি বাস্তবায়নে কাজ করছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছে, ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা তৈরিতে কাজ করছে, ডিজিটাল কমার্স নির্দেশনা তৈরি করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে মিলে পেমেন্ট সার্ভিসের বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করছে, ডাক বিভাগের সঙ্গে মিলে সাপ্লাই চেইনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করছে। গতবছর করোনাকালীন সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে মিলে লকডাউন এলাকায় সেবা দিয়েছে। এসব কাজে সদস্যদের সম্পৃক্ত করেছে। অনলাইন আম মেলা, কোরবানির পশুর হাট, টিসিবি পণ্য এসব সুবিধার মাধ্যমে বিকল্প ব্যবসায়িক সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

ই-কমার্সে ভ্যাট ১৫% থেকে কমিয়ে ৫% এনেছে। সম্প্রতি ই-ক্যাব দেশের গ্রামীণ ই-কমার্স ও ক্রস বর্ডার ই-কমার্সের উন্নয়নের জন্য ‘রুরাল টু গ্লোবাল’ পলিসি কনফারেন্স আয়োজন করেছে। এর বাইরে দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে ই-ক্যাব ট্রেডবডি হিসেবে সমঝোতার ব্যবস্থা করে। গতবছর ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে বিনা জামানতে প্রাইম ব্যাংক থেকে ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়েছে ই-ক্যাব। আরও অনেক কাজ আমাদের হাতে রয়েছে সফল হলে আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসীকে জানিয়ে দেব।

ঢাকা টাইমস: দেশের ই-কমার্স সেক্টরে বিরাজমান সমস্যাসমূহ সমাধানের লক্ষ্যে করণীয় কী? বিশেষ করে ভোক্তার অধিকার বাস্তবায়ন এবং মানসম্মত পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে ই-ক্যাবের করণীয় পদক্ষেপ জানতে চাই।

শমী কায়সার: বিরাজমান সমস্যা বলতে আমরা বুঝি আমাদের প্রান্তিক পর্যায়ে ডেলিভারি সেবা নিশ্চিত করা এখন একটা সমস্যা। ই-ক্যাব সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে এ ব্যাপারে ক্রমাগত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। আরেকটি সমস্যা হলো অনলাইন ক্রেতাদের আর্থিক নিরাপত্তা। এ জন্য ইতোমধ্যে ই-ক্যাব বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে মিলে ESCROW সেবা চালুর জন্য কাজ শুরু করেছে। এটা চালু হলে প্রতিটি অনলাইন ক্রেতা সময়মতো পণ্য ডেলিভারি না পেলে অর্থফেরত পেয়ে যাবেন। কারণ তার টাকা অনলাইন শপে না গিয়ে ESCROW তে জমা থাকবে।

দেখুন, ভোক্তা অধিকার বাস্তবায়নের জন্য সরকারের একটা সংস্থা রয়েছে। আমরা তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে পারি। ই-ক্যাব একটি অ্যাসোসিয়েশন মাত্র। এটা কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নয়। তবে ই-ক্যাবে যেসব অভিযোগ আসে আমরা সেগুলো সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেই এবং এগুলো সমাধানের জন্য চেষ্টা করে। বলতে পারেন এটা এক ধরনের সালিশি কাজ।

ঢাকা টাইমস: লকডাউনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ চালু রাখতে ই-ক্যাবের চ্যালেঞ্জগুলো কী কী?

শমী কায়সার: ই-ক্যাব বা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো সাপ্লাই চেইন নিয়ন্ত্রণ করে না। আমরা সাপ্লাই চেইনের একটা অংশমাত্র। আমরা শুধু দেখি যে সীমিত চলাচলের সময় মাঠ পর্যায়ে আমাদের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে কিনা। এরকম পরিস্থিতিতে আমরা স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করি। আরেকটা বিষয় আমরা খেয়াল করি সেটা হচ্ছে উৎপাদক বা সরবরাহকারীদের সঙ্গে অনলাইন শপ বা মার্কেটপ্লেস এর যে ইকোসিস্টেম তাতে কোনো ব্যাঘাত ঘটছে কিনা এবং উৎপাদন ব্যবস্থায় কোনো ছন্দপতন হচ্ছে কিনা? তাহলে এর প্রভাব পুরো বাজারের উপর পড়বে। এজন্য আমরা গতবছর আমচাষিদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আম অনলাইনে বিক্রির ব্যবস্থা করেছি। প্রান্তিক চাষিদের গরু অনলাইনে বিক্রি করার সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা চাই প্রান্তিক পর্যায়ের ভোক্তা ও উদ্যোক্তারাও যেন ই-কমার্সের সুফল পায়।

ঢাকা টাইমস: গ্রাহকদের পক্ষে এখনকার অভিযোগ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ক্রেতা টানতে অসুস্থ প্রতিযোগিতা করছে। অবিশ্বাস্য ছাড়ের লোভ দেখিয়ে পণ্যের মূল্য অগ্রিম নিয়ে পণ্য সরবরাহে গড়িমসি করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে ই-ক্যাব কী কী পদক্ষেপ নেয়। এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধের উপায়ই বা কী?

শমী কায়সার: এ ধরনের অভিযোগ মিডিয়াতে আমরা দেখেছি। আমরা গ্রাহকদের কাছ থেকেও কিছু অভিযোগ পেয়েছি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ই-কমার্স অপারেশন সংক্রান্ত একটি ডিজিটাল কমার্স নির্দেশনা তৈরির কাজ চলছে। এই এসওপিতে একটি মার্কেটপ্লেস বা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কতদিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দিবে, তাদের স্ট্যান্ডার্ড রিটার্ন ও রিফান্ড পলিসি কি হবে সব কিছু ঠিক করে দেয়া হবে। এতে সমস্যা অনেকখানি কমে যাবে বলে আমরা মনে করি। তাই আমরা কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে চিন্তা না করে সার্বিকভাবে বিধিমালা তৈরি করছি যাতে কোনো প্রতিষ্ঠানেরই এমনটা করার সুযোগই না থাকে।

ক্রেতাদের অসচেতনতাও এক্ষেত্রে অনেকটা দায়ী। কোনো প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেইজে যদি শত শত নেতিবাচক বা অসন্তুষ্ট ক্রেতার কমেন্ট আসে তারপর ক্রেতারা যদি সে প্রতিষ্ঠান থেকে কেনাকাটার ব্যাপার আগ্রহী হয় তাহলে বুঝতে সচেতনতার অভাব রয়েছে। এরপরও ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আমাদের কাছে যেসব অভিযোগ আসে আমরা সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করি। প্রথমত, খুব কম মানুষই নিয়ম মেনে অভিযোগ করে। যেমন ধরুন আমাদের ওয়েবসাইটে অভিযোগের একটা ফরম রয়েছে। সেখানে খুব একটা অভিযোগ আসে না। বেশির ক্রেতা ফেসবুকে পোস্ট করে অভিযোগ করে। যেখানে আমরা ক্রেতাকেই চিহ্নিত করতে পারি না, যে অভিযোগ সঠিক কিনা বা সে ব্যক্তি সঠিক ক্রেতা কিনা?

আবার অফিসিয়াল ফরম্যাটে যেসব অভিযোগ আসে অনেকে বিস্তারিত তথ্য দেয় না। যেমন ধরুন কেউ যদি অর্ডার নাম্বার উল্লেখ না থাকে তাহলে আসলে তার সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয় না।

ই-ক্যাব যেটা করতে পারে ই-ক্যাবের সদস্য হিসেবে যেসব নিয়ম রয়েছে তা ভঙ্গ করলে ই-ক্যাব তার সদস্যপদ বাতিল করতে পারে। যদি সদস্যপদ বাতিল করতে হয় তারও একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান যদি শতকরা ৯০টি সঠিক ডেলিভারি দেয় ১০টির জন্য তার বিরুদ্ধে ই-ক্যাব ব্যবস্থা নিলে নিশ্চয়ই সবাই তখন বলবে এটা ঠিক নয়। কারণ আমাদের দেশে এখনো ডেলিভারির সেবার মান উন্নত বিশ্বের মতো হয়নি এবং কখনো সাপ্লায়ারও ঠিকমতো হয়তো মার্কেটপ্লেস বা অনলাইন শপকে পণ্য দেয় না। তাছাড়া সদস্যপদ বাতিল করলেই কি সমাধান হবে? অনেক সংস্থাতো ই-ক্যাবের সদস্যই নয়।

ঢাকা টাইমস: ক্রস বর্ডার ই-কমার্সের প্রবৃদ্ধি কেমন? ক্রস বর্ডার ই-কমার্সের প্রতিবন্ধকতা কী কী?

শমী কায়সার: বিগত বছরসমূহে এই খাত বার্ষিক ৭৪% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। করোনায় এটা অনেকটাই বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আমাজনসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে ক্রস বর্ডার ই-কমার্স অনেক উদ্যোক্তাই করছে। আমরা শুধু এই সেক্টরের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর জন্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। এখানে প্রধান দুটি সমস্যা একটি হলো বিদেশ থেকে অর্থ আনা অন্যটি হলো বিদেশ পণ্য প্রেরণ করা।

ই-ক্যাব এই মুহূর্তে রপ্তানিমুখী ই-কমার্সের উন্নয়নে কাজ করছে। কারণ বিদেশে দেশীয় পণ্যের বাজার প্রসারিত করলে দেশে বৈদেশিক মূদ্রা আসবে। এই মুহূর্তে ক্রস বর্ডারের মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মূদ্রাকে রেমিটেন্স বা রপ্তানি কোনো হিসেবে ধরা হয় না। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে একে রপ্তানি আয় হিসেবে চিহ্নিত করা হোক এবং পণ্য পাঠানোর খরচটা কমানো হোক। কখনো কখনো দেখা যায় যে পণ্যটি পাঠানো হবে এটির চেয়ে এর শিপিং চার্জ বেশি। এই সমস্যাটির সমাধান হওয়া দরকার।

গ্রামীণ -কমার্সের উন্নয়নে -ক্যাবের পরিকল্পনা কি?

শমী কায়সার: রুরাল ই-কমার্সের জন্য একটা পলিসি কনফারেন্স হয়েছে। আমরা গ্রামের উদ্যোক্তা ও উৎপাদকদের অনলাইন চেইনের সঙ্গে যুক্ত করতে চাই। এ ব্যাপারে সরকারের পোস্ট অফিসগুলোকে ব্যবহার করার ব্যাপারে অনেকদূর অগ্রসর হয়েছি। এছাড়া একটি মডেল রুরাল কমার্স ভিলেজের রুপরেখা তৈরি হচ্ছে। ধাপে ধাপে আমরা এই বিষয়ে কাজ করতে চাই। পাশাপাশি প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়ারও কাজ চলছে। ই-ক্যাব এ যাবত ৬ হাজারের বেশি তরুণ উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

ঢাকা টাইমস: ই-কমার্সে অভিযোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে ই-ক্যাবের ভূমিকা জানতে চাই।

শমী কায়সার: ই-ক্যাব একটি অভিযোগ ব্যবস্থাপনা প্লাটফর্ম তৈরির রুপরেখা চূড়ান্ত করেছে। যার মাধ্যমে ক্রেতারা অভিযোগ করবে। এবং অভিযোগগেুলো সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে জমা হবে তারা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এসব অভিযোগের সমাধান করবে। সময়মতো সমাধান না করলে ক্রেতা ভোক্তা অধিকার বা আইনের আশ্রয় নেবে। আর যেসব প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে ভালে সাড়া দেবে তাদেরকে পুরস্কার ও র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে রাখা হবে। যারা কম সাড়া দেবে তাদের র‌্যাংকিং পেছনে থাকবে। এটা আমাদের এমন একটা উদ্যোগ যাতে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে সমস্যার সমাধান ও সমঝোতা করা যায়। এখানে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয় নেই। কারণ দেশের প্রচলিত আইনে এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে এগুলো আইনের মধ্যে দিয়ে চলবে আইনের মধ্য দিয়ে বিলুপ্ত হবে। দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগ রয়েছে। কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের এখতিয়ার ই-ক্যাবের নেই।

সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

ঢাকা টাইমস এবং আপনাকেও ধন্যবাদ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :