ভালো আছেন খালেদা জিয়া, চলছে রুটিন চেকআপ

প্রকাশ | ২৮ এপ্রিল ২০২১, ১৫:৪৪ | আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২১, ১৬:৫৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করেছেন তার চিকিৎসকরা। বুধবার দুপুরের পর কিছু পরীক্ষা করা হয়। বিকালেও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে। বৃহস্পতিবারও করা হবে আরো কিছু পরীক্ষা।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়।
তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বুধবার জানিয়েছেন, বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি নেত্রীর বিভিন্ন পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের রুটিন চেকআপ শুরু করা হয়েছে। আজকে কিছু পরীক্ষা হয়েছে, বিকালেও হবে, কালকেও হবে। হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে এসব পরীক্ষা করা হচ্ছে।’
খালেদা জিয়ার করোনার উপসর্গ নেই এমনটা জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, তার অবস্থা স্থিতিশীল আছে, উনি ভালো আছেন।
খালেদার ব্যক্তিগত মেডিকেল টিমের সদস্যরাও এসব বিষয়ে সম্পৃক্ত আছেন জানিয়ে ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘পরীক্ষার রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করে পরবর্তী চিকিৎসা কীভাবে চালানো যায় তা ঠিক করা হবে।’
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতেই খালেদা জিয়ার চেস্টের সিটি স্ক্যান, হৃদযন্ত্রের ইসিজি, ইকো কার্ডিওগ্রাম করা হয়েছে।
গত ১১ এপ্রিল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর খালেদা জিয়া গুলশানে তার ভাড়া বাসা ফিরোজায় ব্যক্তিগত চিকিৎসক এফএম সিদ্দিকীর অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ১৪ দিন পর গত শনিবার আবার পরীক্ষা করা হলে তখনও তার করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ আসে।
যেদিন প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে, সেদিনই এভারকেয়ারে নিয়ে খালেদার সিটি স্ক্যান (চেস্ট)’ করানো হয়েছিল। ফুসফুসে সংক্রমণের মাত্রা তখন খুব সামান্য থাকায় বাসায় রেখেই তার চিকিৎসা করানোর সিদ্ধান্ত হয় সে সময়।
মঙ্গলবার আবার পরীক্ষা করাতে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করার পর অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী বলেছিলেন, মূলত পরীক্ষা করানোর জন্যই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগারে যেতে হয়েছিল ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। বহু বছর ধরে তিনি আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন।
দেশে মহামারী শুরুর পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেয়। পরে দুই দফা তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
তখন থেকে গুলশানের বাসাতেই থাকছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তার সঙ্গে বাইরের লোকজনের যোগাযোগ সীমিত।
(ঢাকাটাইমস/২৮এপ্রিল/বিইউ/এমআর)