গাইবান্ধা পৌরসভার সেই কর্মচারী বরখাস্ত

জাভেদ হোসেন, গাইবান্ধা
 | প্রকাশিত : ২৮ এপ্রিল ২০২১, ২৩:৩৬

‘চার বছরে কোটি টাকার সম্পদ গড়লেন পৌর কর্মচারী’ ঢাকাটাইমসের এমন শিরোনামের সংবাদ প্রচারের পর গাইবান্ধা পৌরসভার সেই সাঁটলিপিকার মিলন কুমার সরকারকে সাময়িক বরখস্ত করা হয়েছে।

বুধবার পৌরসভার মেয়র মতলুবর রহমানের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

অফিস আদেশ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে পৌর তহবিল থেকে ১৩ লাখ টাকা আত্মসাত এবং অটোবাইক লাইসেন্স ও এলআর ফান্ডের ৭০ লাখ টাকা পৌর তহবিলে জমা না করে মিলন সরকার তার নিজের একাউন্টে রেখে আত্মসাত করেন। এই অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় তাকে গত ১৮ মার্চ ও ১৩ এপ্রিল দুইবার কারণদর্শানোর নোটিশের প্রেক্ষিতে তার জবাব সন্তোসজনক হয়নি মর্মে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

আদেশে আরও উল্লেখ থাকে যে, পৌরসভা কর্মচারী বিধিমালা ১৯৯২-এর ৪০, ৪১ বিধি মোতাবেক মিলন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তাই, পৌরসভা কর্মচারী বিধিমালা ১৯৯২-এর বিধি ৪৬ (১) অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

সাময়িকভাবে বরখাস্ত থাকাকালে তিনি জীবিকা নির্বাহের জন্য বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা প্রাপ্য হবেন বলেও আদেশে উল্লেখ রয়েছে।

এ বিষয়ে মেয়র মতলুবর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, মিলন সরকারের দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেছে এবং তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিষয়টি অধিকতর তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে পৌর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, গাইবান্ধা পৌরসভার সাঁটলিপিকার মিলন কুমার সরকার গত সাড়ে চার বছরে অবৈধভাবে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। করেছেন জেলার দুই উপজেলায় বিলাসবহুল তিনটি বাড়ি। এছাড়াও নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে কিনেছেন কোটি টাকার জমি।

২০১৯ সালে গাইবান্ধা শহরের গোবিন্দপুর মৌজায় বাড়িসহ সাত শতাংশ জমি কিনেছেন ৫০ লাখ টাকায়। রাজস্ব ফাঁকি দিতে সেই জমির মূল্য দলিলে তুলেছেন ৪০ লাখ টাকা, যা ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ৫৯৩৬ নম্বর দলিলে দাতা হাসান আলী রেজিস্ট্রি মূলে মিলন সরকারের কাছে বিক্রি করেন।

এদিকে গত ১৬ জানুয়ারি পৌর নির্বাচনে জনগণের রায়ে নতুন মেয়র মতলুবর রহমান নির্বাচিত হলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে এই মিলন সরকার। বেরিয়ে আসতে থাকে তার দুর্নীতির ফিরিস্তি। আর এসব দুর্নীতি আমলে নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার বলে মনে করছেন পৌর নাগরিকরা।

অন্যদিকে নবনির্বাচিত মেয়র দায়িত্ব নেয়ার পর দুর্নীতির বিষয়ে ‘আমি নিজেও দুর্নীতি করব না, কাউকে করতেও দেব না’ এমন কথা পরিষ্কার করে বলেন। তিনি বলেন, জনগণের কাছে আমার নির্বাচনের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে পৌরসভাকে ঢেলে সাজাতে চেয়েছি। সেখানে কোনোভাবেই পৌর কর্মকর্তা, কর্মচারীদের দুর্নীতিকে আমি প্রশ্রয় দেব না।

(ঢাকাটাইমস/২৮এপ্রিল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :