কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ

হামিদুর রহমান লিটন
 | প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল ২০২১, ১১:১৬

কোভিডের টিকা নিতে যাব বিএসএমএমইউতে। সাধারণ সময়ে বাসা থেকে শাহবাগের বাস ভাড়া ৩০ টাকা। এখন তো লকডাউন। গণপরিবহন চলছে না (যদিও বাস ছাড়া সবকিছুই চলছে)। ভাড়া একটু বেশি লাগবে সেটা মাথায় নিয়েই রওয়ানা হলাম। সাইনবোর্ড পর্যন্ত হেটে গিয়ে দেখলাম সিএনজি একমাত্র ভরসা।

পাঠাওয়ের মোটর সাইকেল আছে কিন্তু আমি সাহস পাই না। ওরা ফ্লাইওভারে উঠলে মনে হয় বিমান চালায়। সিএনজির ড্রাইভাররা ডাকছে গুলিস্তান একশ টাকা করে। চারজন মিলে একটায় উঠলাম। অর্থাৎ গুলিস্তান পর্যন্ত ভাড়া ৪০০ টাকা। সময় লেগেছে ঘড়িধরা ১০ মিনিট।

পথিমধ্যে ড্রাইভারকে জিজ্ঞস করলাম আপনার নিশ্চয়ই সাধারণ সময়ের ইনকাম ভালো। সে বলল এই মোটামুটি আছে। বললাম এখন কত টাকা আয় করেন সারাদিনে। উত্তর দিল সারাদিন গাড়ি চালাই না। ভোরবেলায় শুরু করি ২টা পর্যন্ত চালাই। বাকি সময় অন্য ড্রাইভার চালায়। আমি এই সময়ের মধ্যে খরচপাতি বাদ দিয়ে ২০০০ টাকার মত পাই।

তাকে বললাম জানেন অনেক শিক্ষিত মানুষের চাকরি চলে গেছে এই লকডাউনে। আর যাদের চাকরি আছে তারাও আপনার সমান টাকা পায় না। আপনারা মানুষকে ঠেকিয়ে এভাবে টাকা না নিলেও পারেন। আমার কথা তার ভালো লাগেনি। বিরক্তির সুরে জবাব দিল ভাই কত মানুষ কত কি করছে আর আমরা দু’চার টাকা বেশি নিলেই আপনাদের চোখে পড়ে। আল্লাহ সুযোগ দিছে বলেই কয়টা টাকা কামাই।

আবার লকডাউন উঠে গেলে তো সারাদিনে ১০০০ টাকা কামাতেই ঘাম ছুটে যাবে। (চেহারা দেখলে মনে হয় সে চায় সারাবছর লকডাউন থাক) দেখলাম আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। সময়ও শেষ। ৬০ টাকার ভাড়া ২৫০ টাকা খরচ করে বাসায় ফিরলাম।

লেখক: সংবাদকর্মী

ঢাকাটাইমস/২৯এপ্রিল/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :