খানসামায় সুইটকর্ন চাষ; ভালো ফলন হলেও বিপণনে সংশয়

নূরনবী ইসলাম, খানসামা (দিনাজপুর)
 | প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল ২০২১, ১২:১৯

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় প্রথমবারের মতো সুইটকর্নের পরীক্ষামূলক চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। তবে চলমান ‘লকডাউন’ ও রোজার কারণে বাজারজাত প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলায় ১০ জন কৃষককে নির্বাচিত করে প্রণোদনার মাধ্যমে সুইটকর্নের পরীক্ষামূলক চাষাবাদ করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষককে ৩৩ শতক জমির জন্য ৩ কেজি বীজ, রাসায়নিক সার ও পরিচর্যার জন্য ১৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। বাজারজাতকরণের জন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চাষীদের যোগাযোগও করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চলমান লকডাউন ও রমজান মাসের কারণে বাজারজাতকরণে সমস্যা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার আঙ্গারপাড়া, ভাবকি ও হাসিমপুর গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ ভুট্টার পাশাপাশি এবার কাঁচায় খাওয়ার জন্য সুইটকর্ন বা মিষ্টি ভুট্টা চাষ করছেন চাষীরা। প্রথমবার হওয়া সত্বেও এর ফলনও আশাতীত হয়েছে। তবে বাজারজাত করা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

আঙ্গারপাড়ার সুইটকর্ন চাষী মিন্টু, আঃ সালাম, রবিউল ও মোস্তফা জানান, কৃষি অফিস থেকে বীজ, সার ও খরচের টাকা পাওয়ার পর প্রথমবারের মত মিষ্টি ভুট্টা চাষ করেছেন তারা। ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। বাজারজাতের জন্যও ব্যবসায়ীরাও যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ লকডাউন ও রমজান মাস শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ীরা আর আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এখন এর বাজারজাত প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এম.জি.এইচ কামরুজ্জামান বলেন, চাষাবাদের শুরু হতে কৃষকদের প্রযুক্তিগত ও কারিগরি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রতি মোচা ৫/৭ টাকা দরে বিক্রি করার জন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথাও হয়েছিল। তবে লকডাউনে আর ব্যবসায়ীদের সাড়া মিলছে না।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, প্রথমবারের মত সুইটকর্নের পরীক্ষামূলক চাষাবাদে কৃষকরা সফল হয়েছে। বাজারজাত করার সমস্যা হচ্ছে। তবে স্থানীয় ভাবে বিপণনের কৌশল খোঁজা হচ্ছে। আগামীতেও আমাদের স্থানীয় বাজারের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৯ এপ্রিল/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :