গণশুনানিতে অনিয়ম তুলে ধরায় সাংবাদিককে চেয়ারম্যানের মারধরের অভিযোগ

নাটোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল ২০২১, ১৮:২৫

নাটোরের সিংড়ায় গৃহহীনদের ঘর বরাদ্দের গণশুনানিতে ইউপি চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন আকন্দের স্বজনপ্রীতির অনিয়ম তুলে ধরায় স্থানীয় এক সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল ইসলামের কাছে ভুক্তভোগী সাংবাদিক খলিলুর রহমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন।

খলিলুর রহমান দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের সিংড়া উপজেলা প্রতিনিধি। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।

অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, মুজিব শতবর্ষে গৃহহীনদের ঘর প্রদানের জন্য সিংড়া উপজেলার ১১নম্বর ছাতারদীঘি ইউনিয়নের ৬০ জন ভূমিহীনের তালিকা জমা দেন ইউপি চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন আকন্দ। স্থানীয় সাংসদ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশে বুধবার সকাল ১১টায় ছাতারদীঘি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ভূমিহীনদের বরাদ্দ ঘরের তালিকার বিষয়ে গণশুনানি করেন সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম সামিরুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত স্থানীয় সাংবাদিক খলিলুর রহমান ঘর বরাদ্দে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ আনেন। অভিযোগে বলেন, পাওটা গ্রামের সাবিনার বাড়ি থাকলেও তাকে আবারও ঘর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আব্দুর গফুরের বাড়ি এই ইউনিয়নে না হওয়ার পরও তাকে ঘর দেওয়া হচ্ছে। পরে ইউএনও ঘর দুটি বাতিল করে দেন।

এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে শুনানি শেষে পাওটা বাজারে ওই সাংবাদিককে প্রকাশ্যে দেখে নেয়ার হুমকি দেন চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন আকন্দ। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাংবাদিক খলিলুর রহমান পেশাগত কাজে আসছিলেন। এসময় একডালা বাজারে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে তার পথরোধ করে চেয়ারম্যানের মোটরসাইকেলচালক মিন্টু প্রামানিক ও শাহিন মাস্টার। এসময় চেয়ারম্যানের সামনে তাকে মারধর করা হয়।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক খলিলুর রহমান বলেন, গণশুনানিতে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন আকন্দ’র নির্দেশে তাকে মারধর করেছে তার মোটরসাইকেলচালক মিন্টু প্রামাণিক, শাহিন মাস্টার ও মো. ধলু। তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, ঘর বরাদ্দে অনেকের কাছ থেকে অর্থ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছে না।

অভিযুক্ত মো. শাহিন মাস্টার মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ঘর বরাদ্দে অর্থ নেয়া হয়েছে এমন প্রচার করায় তার সাথে রাগারাগি হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন আকন্দ বলেন, আমি তো তাকে মারপিট করা দেখেনি। সে সন্ত্রাসী ছেলে। মাদকেও সে আসক্ত। তার অপকর্ম নিয়ে শালিস মীমাংসা করা হয়েছে। শুনানিতে তার বোনের ঘর বরাদ্দের বিষয়ে বিরোধিতা করলে তাকে কিছু কথা বলা হয়েছে।

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এম সামিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

(ঢাকটাইমস/২৯এপ্রিল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :