ভৈরবে করোনা আইসোলেশন সেন্টার চলছে খুঁড়িয়ে

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২১, ১৬:১১ | প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল ২০২১, ১৪:৪০

শুরুর দিক থেকেই কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব পৌরসভা করোনার হটস্পট। করোনার প্রকোপতা বৃদ্ধি পেলে গত বছরের ১৭ মার্চ পৌরসভার ২০ শষ্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টারকে করোনার আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে আইসোলেশন সেন্টারটি এক বছরেরও বেশি সময় পার করলেও এখানে কভিড সংক্রান্ত কোনো চিকিৎসাসামগ্রী নেই বললেই চলে। জনবল ও আর্থিক বরাদ্দ ছাড়া আইসোলেশন সেন্টারটি শেষ পর্যন্ত কত দিন চালিয়ে নেয়া যাবে তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলায় এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৬১১ জনের নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। এর মধ্যে সংক্রমণ পাওয়া গেছে চার হাজার ৪৩৮ জনের। সংক্রমণ হার ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ। ভৈরবে ছয় হাজার ১৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা থেকে করোনায় সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা এক হাজার ৪৬ জন। শনাক্তের হার ১৭ শতাংশ। জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা ৭৫। এর মধ্যে ভৈরবের ১৮ জন।

জেলার ১৩ উপজেলার মধ্যে শুরু থেকেই ভৈরব স্পর্শকাতর স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। বর্তমানে উপজেলাটিতে লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যুও।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছর মার্চের দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ১০ একর জায়গার মধ্যে স্থাপিত হয় ২০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টার। গত বছর করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে এটিকে করোনর রোগীর আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। একবছর পেরিয়ে গেলেও এখন পযর্ন্ত জনবল পাওয়া যায়নি। ট্রমা হাসপাতালের জনবল পেলে আইসোলেশন সেন্টারটি ভালোভাবে চলতো বলে সংশ্লিষ্টদের দাবি। সেন্টারটিতে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ স্থাপনের কথা থাকলেও তা এখনও আলোর মুখ দেখেনি। আইসোলেশন সেন্টারটিতে একসাথে ১৮ জন রোগীকে আইসোলেটেড রাখা যায়। রোগীর অবস্থা অবনতি হলে পাঠিয়ে দেয়া হয় কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অথবা ঢাকায়।

উপজেলার করোনা প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. খুরশীদ আলম জানান, এক বছর হল এই হাসপাতালটি করোনার রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। কিন্তু এই সেন্টারের জন্য সরকারীভাবে আলাদা কোনো বাজেট এখনো আসেনি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাজেট দিয়ে আইসোলেশন সেন্টারটি পরিচালিত হচ্ছে। জনবল সংকটসহ নানাবিধ সমস্যা দূর করতে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

ভৈরব উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা জানান, হাসপাতালটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিজস্ব অর্থ দ্বারা পরিচালনা হচ্ছে। তবে সরকারি অনুদান না আসায় আইসোলেশন সেন্টারটি সঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। যদিও একটি দাতা সংস্থার অর্থায়নে আইসোলেশন সেন্টারটিতে সেন্টাল অক্সিজেন সরবরাহের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/৩০ এপ্রিল/পিএল

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :