বোরো ধান কাটার সঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত তাড়াশের কামাররা

শায়লা পারভীন, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)
 | প্রকাশিত : ০১ মে ২০২১, ১২:০৫

বোরো ধান কাটাকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার কামাররা। ধান কাটার জন্য কাস্তে, ধান মাড়াইয়ের ফাল এবং ধান কাটা শেষে প্রয়োজন হবে কোদাল। এসব তৈরি ও মেরামতে এখন ব্যস্ত উপজেলার সব হাট-বাজারের কামারের। সেই ব্যস্ততা যেন টের পাওয়া যায় কামারশালাগুলোতে লোহা ও হাতুড়ির টুংটাং শব্দেই।

পৌর এলাকার বাজারে দেখা গেছে, ব্যস্ততায় কামারদের যেন কথা বলার ফুরসতও নেই। হাঁপর দিয়ে কয়লা আগুনের বাতাসে টকটকে লাল লোহা পিটিয়ে কাস্তে, ধান মারাইয়ের ফাল আর কোদাল বানানোর কাজ করছিলেন তারা।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের তাড়াশ উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ২২ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। আর ১০-১৫ দিনের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে এ উপজেলায়।

উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের পৌষার বাজারের কামার কামার বাবু লাল বলেন, ‘সারাবছর অলস সময় কাটাই। কিন্ত বোরো মৌসুম ও ঈদকে কেন্দ্র করেই ব্যবসা ভাল হয়। এ বছর বোরো ধান কাটা সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছি। ধান কাটা ও গৃহস্তর কাজের কাস্তে, কোদালসহ নানা রকমের উপকরণ তৈরি করছি।’

নওগাঁ বাজারের কামার প্রভাত কর্মকার ও ব্রজেন কর্মকার জানান, ধান কাটার সময় হওয়ায়, এখন কাস্তে বানানো ও মেরামত কাজই বেশি। ধান মাড়াইয়ের ফালও বানাচ্ছে অনেকে। আবার অনেক কৃষক আগেই কোদাল বানিয়েছেন, এখন শুধু শান দিয়ে নিচ্ছেন।

কামারশালায় আসা কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমাদের এখন ধান কাটার সময় হয়েছে। ধান কাটার জন্য কাস্তের খুব দরকার। এজন্য চারটি কাস্তে বানাতে সকাল থেকে এসে বসে আছি।’

তিনি জানান, একটি নতুন কাস্তে তৈরির জন্য কামাররা ৭০ টাকা থেকে ১০০ টাকা নেন, পুরনো কাস্তে মেরামত করতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আর নতুন একটি কোদাল তৈরি করতে নেন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা।

(ঢাকাটাইমস/১মে/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :