ভারতফেরত যাত্রীদের জায়গা হচ্ছে না বেনাপোলে
ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশি যাত্রীদের চাপে ভরে গেছে বেনাপোলের আবাসিক হোটেল ও মাদ্রাসা। চাপ সামলাতে শনিবার থেকে দেশে ফেরা যাত্রীদের ৭৫ কিলোমিটার দূরে জেলা সদর নড়াইলের পর নেয়া হচ্ছে খুলনায়। প্রতিদিন ঝাঁকে ঝাঁকে স্রোতের মতো আসছে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা। তাদের অধিকাংশ চিকিৎসার জন্য ভারতে অবস্থান করছিলেন।
রবিবার দুপুর ৩টার মধ্যে দেশে ফিরেছেন আরও প্রায় ৭০ জন বাংলাদেশি। এদেরকে বিশেষ ব্যবস্থায় খুলনায় নেয়া হচ্ছে। শনিবার দেশে আসে ২৮৩ জন। লকডাউনের পর এ পর্যন্ত দেশে ফিরেছে এক হাজার ১৯৯ জন। প্রথম তিনদিনের প্রায় ছয় শতাধিক যাত্রীকে রাখা হয় বেনাপোলের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে।
বেনাপোলে পর্যটন মোটেলসহ মোট হোটেলের সংখ্যা ১২। স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২৯ এপ্রিল দেশে ফেরত আসা যাত্রীদের রাখা হয় ঝিকরগাছার গাজীর দরগা মাদ্রাসায়। ৩০ এপ্রিলের যাত্রীদেরকে পাঠানো হয়েছে নড়াইলের বিভিন্ন হোটেলে। শনিবার ও রবিবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত দেশে ফেরা যাত্রীদের পাঠানো হয়েছে খুলনার বিভিন্ন হোটেলে।
গত এক সপ্তাহে দেশে ফেরত আসা যাত্রীর সংখ্যা এক হাজার ১৯৯ জন। এসব যাত্রীর মধ্যে করোনা শনাক্ত রোগী পাওয়া গেছে সাতজন। শনাক্তদের যশোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে ফেরত আসা এসব যাত্রীদেরকে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলিফ রেজা আগত যাত্রীদের সার্বিক দেখাশোনার জন্য চেকপোস্টের আন্তর্জাতিক টার্মিনালে মনিটরিং সেল বসিয়ে তত্ত্বাবধানের ব্যবস্থা করেছেন।
এদিকে বেনাপোলের পোর্টভিউ হোটেলের স্বত্তাধিকারী ওয়াজেদ আলী জানান, তার হোটেলে অবস্থান নেয়া প্রায় ৫০ জন রোজাদার যাত্রীকে তার পরিবারের পক্ষ থেকে শনিবার থেকে বিনামূল্যে ইফতার ও সাহরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদের আগেরদিন পর্যন্ত সব রোজাদার যাত্রীদের খাবার দেয়া অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
(ঢাকাটাইমস/২মে/কেএম)