ভোলার আলোচিত দুই ভাইয়ের ‘খুনি’ গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ০৪ মে ২০২১, ১৬:৪৯ | আপডেট: ০৪ মে ২০২১, ১৬:৫৭

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় খুন হওয়া তপন চন্দ্র শীল ও দুলাল চন্দ্র শীল নামে দুই ভাইয়ের মূল হত্যাকারী ভাড়াটে খুনি শরিফুল ইসলামকে(২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের দেবপাড়া এলাকা থেকে ভোলার পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে মঙ্গলবার ভোলায় নিয়ে আসে।

গ্রেপ্তার শরিফুল উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চর মানিকা ইউনিয়নের শাহে আলমের ছেলে। তিনি চট্টগ্রামের শহরের কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় থেকে একটি প্রাইভেট কোম্পানির গাড়ি চালাতেন।

ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার জানান, গত ৮ এপ্রিল ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আছলামপুর ইউনিয়নের সুন্দরী ব্রিজের কাছে একটি পরিত্যাক্ত বাড়ি থেকে মাথাবিহীন দুটি অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার ১৪ দিন পর ঘটনাস্থলের পাশে একটি বাড়ির টয়লেটের সেফটি ট্যাংকি থেকে দুইটি মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়।

একইসঙ্গে হত্যার পরিকল্পনাকারী আছলামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. বিল্লাল, আবুল কাশেম ও আবু মাঝিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়। পরে হত্যায় ব্যবহৃত ছেনি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার জানান, তপন ও দুলালকে হত্যা করতে শরিফুল ইসলামকে আড়াই লাখ টাকায় ভাড়া করে বিল্লাল। হত্যা করতে শরিফকে প্রথমে ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনি নিজ থেকে সব কিছু স্বীকার করলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে। নয়তো আমরা আদালতের মাধ্যমে তার রিমান্ড চাইবো।

উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল মাথাবিহীন দুইটি লাশ উদ্ধারের পর অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন চরফ্যাশন থানার এসআই নুরুজ্জামান।

পরে জানা যায়, নিহত দুই ভাই তপন চন্দ্র শীল ও দুলাল চন্দ্র শীল তিন বছর আগে চরফ্যাশন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাদের পৈত্রিক ৫৬ শতাংশ জমি বিক্রি করে ভারত চলে যায়। ওই জমি ২০ লাখ টাকায় কিনে নেয় আছলামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. বিল্লাল ও তার শ্বশুর আবু মঝি।

তারা জমি বিক্রেতাদের তিন লাখ টাকা দেয়। বাকি টাকা নেয়ার জন্য তপন ও দুলাল এক বছর আগে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসেন। পরে তাদের টাকা দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে নির্জন বাগানে নিয়ে গলাকেটে হত্যা করে লাশে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

(ঢাকাটাইমস/৪মে/কেএম)