‘ভারতের সঙ্গে টিকার চুক্তি এক অর্থে ভেঙে গেছে’

প্রকাশ | ০৪ মে ২০২১, ১৭:৪০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আনতে যে চুক্তি হয়েছিল তা এক অর্থে ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। আইনগতভাবে সে চুক্তি থেকে ভারতের বের হওয়ার পথ না থাকলেও করোনাভাইরাসে দেশটির বিপর্যয়ের কথা অস্বীকার করারও সুযোগ নেই বলে মনে করেন মন্ত্রী।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের ভ্যাকসিন সরবরাহের চুক্তি ছিল। সেটা এক অর্থে ভেঙে গেছে।  চুক্তি থেকে আইনগতভাবে তাদের বেরুনোর কোনো পথ নেই। আইনগত-নৈতিক সকল দিক থেকেই আমাদের অবস্থান খুবই স্ট্রং। কিন্তু একটা বিষয় তো স্বীকার করতেই হবে—ভারতের যে দুরবস্থা আমরা দেখছি, সেটা তো কোনো আনন্দের বিষয় নয়। আমরা দুঃখিত।’

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘তারা তাদের ঘর যদি সঠিক না করে, সেটা তাদের নিজেদের জন্য মুশকিলের ব্যাপার। এক্ষেত্রে তারা তাদের নাগরিকদের অবহেলা করে বা বাদ দিয়ে যেটুকু ভ্যাকসিন রয়েছে, তা আমাদের সরবরাহ করবে সেটা আশা করি না।’

ভারতের বর্তমান অবস্থা থেকে বাংলাদেশ শিক্ষা নিচ্ছে জানিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের প্রতি আমাদের সমবেদনা আছে। আমরা পারলে তাদের সহায়তা প্রদান করবো। ভ্যাকসিন মিলছে না। অক্সিজেন মিলছে না। আশা করছি, এই অবস্থা আমাদের এখানে হবে না। ভারতের অবস্থা দেখে আমরা শিখছি।’

সেরামের টিকার সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘খবরের কাগজে পড়ে এবং ইন্টারনেটে দেখে জেনেছি, ভ্যাকসিন যারা আবিষ্কার করে তাদের সক্ষমতা এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তারা এত ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারছে না। সুতরাং, এটা একটা জটিল ব্যাপার। আমাদের এ বিষয় নজরে আছে। আর আপনারা জানেন, ভ্যাকসিনের বিষয়ে সরকার বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং সেটি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।’

করোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে এতদিন একনেকের সভা অনুষ্ঠিত হয়নি জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই সময়টাতে কোভিডে ব্যতিব্যস্ত ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার বলেছেন, তার প্রধান কাজ কোভিড মোকাবিলা করা। ব্যাখ্যা করে বললে আমাদের প্রতিবেশী বৃহৎ দেশ ভারতের কোভিডে যে তছনছ অবস্থা! পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে আমরা এটা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে ছিলাম। এ সময় আমাদের সব কাজ কোভিডকে ঘিরেই ছিল।’

(ঢাকাটাইমস/০৪মে/কারই/জেবি)